রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন

ভাই হয়ে ভাইয়ের দোকান ঘর দখল করে নিলেন সাবেক মেম্বার আলি মাতুব্বর

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৯ Time View

 

মোঃ সাইম হোসেন, ভাংগা প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী হরির হাট
কাঁচাবাজারের উত্তর-পূর্বক কোণে ১৫-১৬ নং উল্লেখিত দুটি পজিশন আলি মাতুব্বর_মেম্বার থাকাকালীন সময় ক্ষমতার জোরে দখল করে নেন।
এবং এক সপ্তাহের ভেতর তড়িঘড়ি করে ১৫-১৬ নং দুটি দোকান ঘর উত্তোলন করেন_ঘর দুটি কাউকে না জানিয়ে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।

বিষয়টি অন্যের চোখে না পড়ার স্বার্থে দ্রুত ধামাচাপা দেয় এবং এভাবেই বেশ কয়েক বছর কেটে যায়।

হঠাৎ ২০২৫ সালে বাজারের পজিশন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ১৫-১৬ নং কাঁচা বাজারের দুটি পজিশন এর মূল মালিকের নাম উঠে আসে।

জানা যায় ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামের রফিক মাতুব্বর এবং তার চাচাত ভাই আমির মাতুব্বর নামে দুটি পজিশন তৎকালীন সময়ে হার্ট কমিটি তাদের দুই ভাইয়ের নামে দিয়েছিলেন।
বিষয়টি রফিক মাতুব্বর এবং আমির মাতুব্বর জানতেন না।
এ বিষয়ে তৎকালীন সমযের ক্যাশিয়ার মো. ওহাব শিকদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি সত্যতা প্রকাশ করে বলেন_কাঁচা বাজারের ১৫-১৬ নং দুটি পজিশন রফিক মাতুব্বর এবং আমির মাতুব্বরের নামে দিয়া হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন আমি পজিশন দুটির সম্পর্কে রফিক মাতুব্বর ও আমির মাতুব্বর কে জানাতে চাইলে_তখন উপস্থিত আলী মাতুব্বর বলেন আমি বিষয়টি তাদের জানিয়ে দিব_কিন্তু তিনি তার দুই ভাইকে না জানিয়ে নিজেই পজিশন দুটি আত্মসাৎ করেন।
পজিশন দুটি পুনরায় উদ্ধারের জন্য ২৩ / ৪ / ২৫ তারিখ বুধবার সকাল ১০ টায় হরির হাট বাজারে একটি মিটিং এর ডাক দেন ভুক্তভোগী_রফিক মাতুব্বর ও আমির মাতুব্বরের পরিবার।

উক্ত মিটিংয়ে আলিমাতুব্বর এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
এবং তিনি বলেন পজিশন সম্পর্কে তাদেরকে বলেছিলাম কিন্তু তারা আগ্রহী না হওয়ার কারণে পজিশন দুটি আমি আমার নিজের করে নেই।

এ বিষয় তৎকালীন সময়ের ক্যাশিয়ার ওহাব সিকদারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন দুটি পজিশনের যে টাকা ধরা হয়েছিল সেই টাকাটা ক্যাশিয়ারের নিকট জমা করা হয়নি।
ক্যাশিয়ার ওহাব সিকদার আরো বলেন পজিশন দুটি তখনকার সময় আলি মাতুব্বর টাকা না দিয়েই জোর পূর্বক দখল করে নেন।

উক্ত গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে_সভাপতি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে_যাচাই বাছাই এর মাধ্যমে রায় দেয়ার উদ্দেশ্যে এক সপ্তাহের টাইম নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102