রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

আজকের মানুষ আর খুজেন না ঘাইয়ারি

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
  • ৩৯ Time View

মিজানুর রহমান মিজান

উনিশ শতকের আশির দশক থেকে ঘাইয়ারী(ঘাইয়াড়ি)গেছে হারিয়ে গ্রামাঞ্চলের ভোজনরসিক বা সৌখিন মানুষের কাছ থেকে।ঘাইয়ারীর প্রচলন বা প্রয়োজনীয়তা ছিল বিরুন ভাত রান্নার প্রণালীতে ব্যবহৃত দ্রব্য হিসেবে।বিরুন ভাত পাক করতে সাধারণত ঘাইয়ারী দ্বারা পাক করতেন আমাদের গ্রামাঞ্চলের মা,চাচীরা।পাক করার চুলার উপরে প্রথমে বসাতেন এলোমিনিয়ামের ডেকচিতে পানি দিয়ে।তার উপর বসাতেন ঘাইয়ারী।মাটির তৈরী নীচ দিকে থাকতো কয়েকটি ছিদ্র করা।ঘাইয়ারীতে তখন ঢালতেন বিরুন চাল।পানি গরম হয়ে ঘাইয়ারীর নীচের ছিদ্র দিয়ে জলীয় বাষ্পসমেত তাপে বিরুন ভাত পাক করা হত।ভোজনরসিক,সৌখিন মানুষজন খুব ভালবাসতেন বিরুন ভাত।তাদের আত্মতৃপ্তি থেকেই যেত বিরুন ভাত ব্যতীত।আর ঘাইয়ারীর অধিক প্রয়োজনীয়তা তখন ছিল বিরুন ভাত রান্না করতে।আজ যেমন ভোজন রসিকের অভাব,তখন বিরুন ভাতের ও প্রয়োজনীয়তা ও তলানীতে।বিরুন ভাত খাবার মানুষের সংখ্যা যেমন কমেছে।ঘাইয়ারীর প্রয়োজনীয়তাও কমেছে।বিরুন ভাত খাবার মানুষের সংখ্যা কমেছে অত্যধিক।তাই ঘাইয়ারীর সংখ্যা এবং প্রয়োজনীয়তা গেছে হারিয়ে।বড় বড় মাছ ভাজি করে বা বড় মাছের তরকারি বা মাংস দ্বারা বিরুন ভাত অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার হিসেবে সকলেই কমবেশি তৃপ্তি সহকারে গ্রহণ করতেন।আজ বিরুন ভাত অনেকের অপরিচিত রয়েই গেছে।বর্তমান সময়ের অনেকে বিরুন নামই জানেন না।ঘাইয়ারী চিনা তো অনেক দুরের কথা।আজ আমরা হয়ে গেছি ফাস্টফুড়ের খাবারে অভ্যস্থ।এ খাবারটি কিন্তু আমাদের অনেক ক্ষতিকর খাবার।তবু ও আমরা তা গ্রহণে অধিক আগ্রহী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102