কলমেঃ নাসরীন খান
সকল কামনা বাসনা জলাঞ্জলি
দিয়ে উত্থাপিত আজ অনন্তে
শিকল গুলো হারায়ে দ্যূতি
ফ্যাকাশে মরিচার আস্তরণে
শূন্য থেকে শূন্যে মিলায় ক্রমাগত
উদিত সূর্যকে ঢেকে দিচ্ছে মেঘ
মেঘ নয়, মেঘমালার ধূম্রজাল
একটির পর একটি আসতে থাকে
নতুন ভোর নামে না পৃথিবীর বুকে
যে ভোরের জন্য লিখেছি কত!
সুন্দরতম কথা,
কথার পৃষ্ঠে কথামালা
যে মূহুর্তটি যায় তা আর ফিরে না
অবলীলায় সে গত হয়
বৃষ্টির প্রতিটি ফোটা ঝরলে মনে হয়
আকাশটা অঝোরে কাঁদছে
আগে তো এমন হতো না?
রোজ বৃষ্টি চাইতাম ভিজব বলে
আজ আর ভিজি না,
শুধু তাকিয়ে থাকি।
কোলাহল পছন্দ ছিল,
নিজেকে কোলাহলে সরব লাগত
শুধু সরব কেন? প্রাণবন্তও লাগত
ওভারব্রীজে দাঁড়িয়ে গাড়ির যাওয়া আসা,
মানুষের ছুটে চলা ব্যাস্তময় গতি,
রিক্সার ভাড়া নিয়ে কারো ক্যাঁচাল,
হকারদের হাঁকডাক,
বখাটে ছেলেদের ভিড়ে হেটে যাওয়া
গুটি-শুটি মেরে কিশোরীর ভয়ার্ত মুখ
কিছুই এড়াতে পারত না আমার চোখকে।
এখন দেখি মানুষের বিবেকের ক্ষয়ে যাওয়া
এখন দেখি প্রতিহিংসায় জ্বলে ওঠা দানব
চারিদিকে ওঁৎ পেতে আছে যেন,
নিরাপত্তা হীনতা বেড়ে আকাশচুম্বী
চারিদিকে অস্থিরতা আর অস্থিরতা।।