অথই নূরুল আমিন
জীবনের অনেক দুর্গম পথ যিনি পাড়ি দিয়ে এসেছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সকল বিপদে বিভিন্ন বদনামে, চরম ধৈর্যের পরিচয় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এবং তিনি গৃহিনী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বেশ কয়েকবার এমনকি সারাজীবন বলা চলে । বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, (বিএনপি) কে সুসংগঠিত করে ধরে রেখেছেন,প্রায় তিন যুগের ও বেশি সময় ধরে।
বিগত তিন যুগের ও বেশি সময় ধরে, রাজনীতি করতে গিয়ে, বিশেষ করে ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত। তিনি জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। চরম অশান্তি আর কষ্টের মাঝে। তারপরও তিনি কারো কোনো অযৌক্তিক দাবি যেমন মেনে নেননি। কারো ভয়ে মাথা নত করেননি। এবং কারো প্ররোচনায় হ্যা সম্মতি দেননি। জীবন যুদ্ধে হার না মানা একজন পরিক্ষিত রাজনৈতিক নেত্রী, আগামী ৬ মে চিকিৎসা শেষে অনেকটা বিপদমুক্ত হয়ে দেশে ফিরছেন। এযেন দীর্ঘদিনের এক সফলতা। এ যেন এক পরম শান্তি।
সারাদেশের তিন ভাগের, একভাগ জনগণ, বেগম খালেদা জিয়াকে মনে প্রানে শ্রদ্ধা করেন, পছন্দ করেন। তার প্রধান কারণ হলো, তিনি ভাষণ দেন খুবই ভদ্র এবং মার্জিত ভাষায়, যেখানে ফুটে উঠে একধরনের মায়া, স্নেহ এবং গভীর ভালোবাসা। এই একটি মাত্র গুণের কারণে আজকে তিনি সার্বজনীন শ্রদ্ধেয় এক নারী হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের জনগণের কাছে।
তারচেয়েও আরেকটি বড়ো গুণ হলো, তিনি খুবই ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে এসেছেন, জীবনের সবচেয়ে বড় বড় বিপদ গুলোতে। বেগম খালেদা জিয়ার জীবদ্দশাতে স্বামী হারানো, সন্তান হারানো, জেল জুলুমসহ যত বিপদের মুখোমুখি তিনি হয়েছেন। তারপরও সর্বক্ষেত্রে তিনি রয়েছেন আপোষহীন, ধীরস্থির এবং মনোবলে ভরপুর।
বিশেষ করে ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে সংঘবদ্ধ রাখতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। ইতিহাসবিদেরা একদিন এমন কথাই লিখবেন।
পৃথিবী জুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যত নারী রয়েছেন, কমবেশি অনেকের জীবনে বিভিন্ন রকম আপোষ করতে দেখা গেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম “বেগম খালেদা জিয়া ” যিনি বাংলার ইতিহাসে গর্বিত একজন নারী হিসাবে নাম খচিত করেছেন, যা হাজার বছরের ইতিহাস হবে বলে আমি মনে করি। যাঁর জীবন চলার গল্প লিখলে, কখনও জীবনী লিখা হলে, ইনল্যান্ডের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সবচেয়ে ভালো গুণাবলির সাথে তুলনা করা যাবে।
বেগম খালেদা জিয়া’র আপোসহীনতা, ধৈর্য্য এবং সুশৃঙ্খল ভাষণের কারণে, তিনি আজকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রান প্রিয় নেত্রীর স্থানে পৌছাতে পেরেছেন। স্থান করে নিয়েছেন দেশ -বিদেশের লক্ষ লক্ষ জনগণের পছন্দের ও সম্মানের তালিকায়। তিনি তাঁর গুণাবলি দিয়ে সমগ্র বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। সুন্দর কথা বলা এবং ধৈর্য্য দিয়ে পৃথিবীর মানুষের মন জয় করা সম্ভব। আগামী সময় গুলোতে অনেক নেতা এবং নেত্রী “বেগম খালেদা জিয়া”র আত্মজীবনী পড়ে, রাজনীতি, সমাজনীতি ও আদর্শ মানব মানবী হবার পরিমার্জিত শিক্ষা অর্জন করবেন, রাজনীতি শিখবেন বলে আমার একান্ত বিশ্বাস।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী