খুলনা অফিস:
খুলনা মহানগরী ও জেলার ৯ টি উপজেলায় লোকসংখ্যা বেড়েছে অনেক, বিশেষ করে কয়রা ও দাকোপ উপকূলীয় এলাকায় বন্যা জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা, এদিকটা বিবেচনা করে এসব এলাকায় আরো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রয়োজন। এ প্রতিনিধিকে খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ মোছাঃ মাহফুজা খাতুন জানান, লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজন হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। আবেদনের সঙ্গে পরিবেশ ছাড়পত্রের সনদ অত্যাবশ্যকীয় কিন্তু এ সনদ দেয়া বন্ধ রয়েছে। সেজন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার করার ইচ্ছা থাকলেও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কেমন সিদ্ধান্ত !! স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য সরকার যথেষ্ট আন্তরিক, তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করা যাচ্ছে,,,
খুলনা মহানগরীতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে ৫৮ টি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল সহ। খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে ২৪ টি। ফিজিওথেরাপি চারটি। মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে ৭ টি ।
খুলনা জেলার ৯ টি উপজেলায় ক্লিনিক রয়েছে ৬৬ টি। ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১০৭ টি। মোট ১৭৩ টি।
এরমধ্যে অনেকগুলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নাই বলে জানা গেছে, বটিয়াঘাটায় ১ টি,পাইকগাছায় ৬ টি, দিঘলিয়ায় ২ টি, তেরখাদায় ১টি, ডুমুরিয়ায় ৬ টি, কয়রায় ১ টি।
অবশ্য, এর মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় কিছু ক্লিনিক অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ওয়েটিং এ আছে বা ইনকমপ্লিট রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইত্যাদি যেন স্বাস্থ্যসেবার মন মানসিকতা নিয়ে চলে, রোগী যাতে হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হয়, সে দিকটা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করা উচিত বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।
শেখ আবু আসলাম বাবু
সাংবাদিক।