শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন

শরীর সুস্থ রাখার করনীয়

Coder Boss
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ২৯০ Time View

 

কলমে: জিনিয়া ইসলাম দিশা

আমি জিনিয়া ইসলাম দিশা,খুলনা করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
২০২৪ সালে খুলনা আর্ট একাডেমির ড্রয়িং শিক্ষক মিলন বিশ্বাসের কাছে ছবি আঁকার জন্য ভর্তি হই। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ছবি আঁকা শিখান না।খুলনা আর্ট একাডেমি এমন একটি প্রতিষ্ঠান,যেখানে অংকন ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনের বিষয় বলি সম্পর্কেও শিক্ষা দেন।আজ স্যারের অনুপ্রেরণায় এই বয়সে লিখতে সাহস পেয়েছি। স্যার ছবি আঁকার পাশাপাশি প্রতিদিন অনেক নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন তাই আমার মত একজন নবীন লেখিকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন।
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য কার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়ে আমি লিখার চেষ্টা করব। সবাই আমাকে দোয়া করবেন।

ভূমিকা: দৈনন্দিন জীবনে আমাদের শরীর সুস্থ রাখা খুব প্রয়োজন। আমরা শরীর সুস্থ না রাখলে কোনো কাজ করতে পারব না। আমরা কাজ করতে গেলে হাপিয়ে পড়ব, তাই মানুষের জীবনে স্বাস্থ্যই বড় সম্পদ ।শরীর মানুষের জীবনের মূল ভিত্তি। একটি সুস্থ শরীর’ ছাড়া মানুষ কখনো তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না।
যেমনঃ- একজন ছাত্রের পড়াশোনাই ধরা যাক বা একজন শ্রমিকের পরিশ্রম বা একজন শিল্পীর সৃষ্টি কর্ম। তাই আমি বলি, সুস্থ দেহে জাগুক প্রান, হাসুক জীবন ভরে শরীর সুস্থ থাকুক সবার আনন্দ থাকুক ঘরে। তাই তো চিরন্তন সত্যের মতো উচ্চারিত হয়-“শরীর সুস্থ থাকুক সবার।”
শরীর সুস্থ থাকার নিয়ম: প্রতিদিন নিদৃষ্ট সময়ে ঘুমানো ও জাগা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। আমরা যদি ইচ্ছামতো চলি, পরিষ্কার ‘না থাকি, খাবার না পাই তাহলে আমরা অসুস্থ হতে পারি, এবং আমাদের শরীর ও মন দুটোয় অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই কি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, জীবনের জয়গান গাইব,রিক্ত হৃদয় নয়, ধূলি মেখে, রক্ত মেখে, ব্যাথা নিয়ে জয়।
প্রযুক্তির জন্য শশ্রুতিঃ- বর্তমান যুগে আমরা প্রযুক্তির ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। এমনকি আমরা ছোট বাচ্চাদের আসক্ত করছি তারা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল কম্পিউটার, ল্যাপটপ বেশি চালানোর কারণে বেশি মাথা ব্যথা করছে এবং চোখ এবং শরিরের উপর প্রভাব ফেলছে। আমরা ছোট বাচ্চাদের যেমনঃ- ৩ থেকে ৪ বছর। ৫ থেকে ৭ বছরের শিশুদের হাতে মোবাইল দিচ্ছি যার ফলে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ১০-১১ বা ১-১০ বছরের শিশুদের চশমা পরা লাগছে যা শরীরের উপর প্রভাব ফেলছে। এখন ছোট ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বা চোখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা বাইরে বেরলে দেখতে পাই ২০ জনের ভিতরে ১৫ জন শিশু চশমা পরেছে। মানে চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর ৫ জন শিশু সুস্থ তাই আমাদের মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার কমাতে হবে। এমনকি শিশুদের জ্ঞান ও পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ফলে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহার করা কমানে এবং এগুলো থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। তাই আমি বলি, চোখের আলো নিভেসায়, ক্লান্ত হয় কোমলতায়, যন্ত্রের আলোই হারিয়ে যায় শিশুর মধুর প্রজ্ঞান।
শুধু শিশুদের নয় আমাদের শরীর সুস্থ রাখায় মা-বাবার করণীয়ঃ-মা বাবার করণীয় ছোট শিশুদের যত্ন নেওয়া। যেমনঃ- ৩ থেকে ৪ বছর শিশুদের এমনকি ১০ বছরের শিশুদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো দুধ, ডিম, কলা ইত্যাদি। ছোট বাচ্চাদের বাইরের খাবার থেকে দূরে রাখা। খেলাধুলা করতে বলা। নিয়মিত সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করানো। পরিষ্কার রাখা যেমনঃ- হাত ধোঁয়া, ব্রাশ করা, পরিষ্কার জামা কাপড় পরানো ইত্যাদি। এগুলো করলে শিশুদের শরীর ভালো থাকবে।
কাজের গুরুত্ব শুধু শিশুদের নয় আমাদের শরীর সুস্থ রাখা প্রয়োজন। এজন্য আমরা বেশি কাজ করতে পারি, যেমনঃ- মাকে বাড়ির কাজে সাহায্য করা নিজের যন্ত্র গোছানো, স্যার ম্যামকে সাহায্য করা ইত্যদি। কাজ করলে শরীর সক্রিয় থাকে। ঘুমের ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। কাজ, মানসিক চাপ কমায় ।অলসতা দূর করে, ইত্যাদি। তাই আমাদের কাজ করা উচিৎ। আমি মনে করি, কাজ করি আনন্দেতে, ‘হাসি চড়াই পথে, মুখ থাকি সারাদিন, প্রাণ ভরে জীবণে।
উপসংহারঃ- সুস্থ শরীরই জীবনের মূলধন। শরীর সুস্থ থাকলে আমরা আনন্দে কর্মে ও সাফল্যে এগিয়ে যেতে পারি। তাই নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার এরং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা প্রয়োজন। কাজ করা প্রয়োজনও শিশুদের সুস্থ রাখার চেষ্টা করা প্রয়োজন। শরীর সুস্থ রাখলে মন ভালো থাকে অনেক কিছুতে মন বসে। নিয়ম মেনে চললে সুস্থ সমাজ গড়তে পারি। তাই আমি বলি, সুস্থ থাকুক সবাই, সুখ ছড়াক সারাক্ষণ, ভালোবাসার আলোয় ভরে উঠুক জীবন। আমরা নিয়ম মেনে চলে সুস্থ সমাজ গড়ি।
আমি অনেকদিন ধরেই আমার মনের কথা লেখার মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম এবং আমি এ বিষয়টি মানুষের কাছে তুলে ধরতে পেরেছি আমার শিল্পগুরু চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের জন্য।এজন্য আমি আমার শিল্পগুরুর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।আমাকে সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আমার দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারি। আমি আমার পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। আমার পিতা মাতা আমাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন আমি যেন সৎ পথে থেকে পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। আমি একজন নবীন আমার লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভবিষ্যতে আবারো নতুন কোন বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102