কলমেঃ সাহেলা সার্মিন
রবির আলো আকাশ জুড়ে উনবিংশ থেকে
আজ অব্দি জ্ঞানের আলো ছড়ায় সাথে সাথে।
কলকাতার ঐ ঠাকুর বাড়ি জন্ম নিলেন যখন
পূব আকাশে রবির আলো নাচলো যেনো তখন।
একটু একটু বড় হলো দেখলো কতো রীতি
ঠাকুর বাড়ির আচার যেনো অন্য এক নীতি।
কবি সম্পাদক গীতিকার শিল্পী সবই ঠাকুর বাড়ি ছিলো
ভাই-বোনেরা জ্বেলেছিলো সংস্কৃতিরই আলো।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও স্বর্ণকুমারী শিল্পী ছিলেন বড়
সেথায় ছিলো নাট্যমঞ্চ কতো লোক হতো জড়।
মায়ের স্নেহ ভালোবাসা জড়ায়নি গভীর ভাবে
তিনি থাকতেন তার ঘরে তাস খেলায় তক্তপোশে বসে।
তাকে সঙ্গ দিয়েছে বৌদি কাদম্বরী দেবী
কাব্য লেখায় উৎসাহ ও আঁকতে যতো ছবি।
আট বছর বয়সেই শুরু হয় কবিতা লেখার বিলাস
অভিলাষ নামে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় হয় প্রকাশ।
এভাবে দিন চলে যায় বছর চৌদ্দ হলে অল্প
লিখে ফেললেন কবি সুন্দর করে ভিখারিনী গল্প।
তরপর আর থেমে থাকেনি কবির কলম
একে একে লিখিলেন গল্প উপন্যাস কাব্য কথন।
তিনি কবি শিল্পী গীতিকার নাট্যকার অভিনেতা
যার জন্যে হয়েছে নোবেল পুরস্কারে সহায়তা।
এশিয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম পেলেন এ পুরস্কার
তাই গীতাঞ্জলিকে জানাই নমস্কার।