মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ন

সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে ব্রিজের অভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগে তিন গ্রামের মানুষ সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে ব্রিজের অভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগে তিন গ্রামের মানুষ সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে ব্রিজের অভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগে তিন গ্রামের মানুষ

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৮ Time View

এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের হোগলাপাশা ইউনিয়নের হোগলাপাশা বড় খাল সংযোগে তিন গ্রামের মানুষের পারাপারের এখন ভরসা গাছের সাঁকো। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুর্ভোগে ৫ হাজার মানুষ। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সংযোগ খালটিতে চলাচলের জন্য একটি মিনি ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের ৫ ও ৩নং ওয়ার্ডের হোগলাপাশা বড় খাল সংযোগে দুই পারের ছোট হরিপুর, গোবিন্দপুর ও কালিয়া মেঘা তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের পারাপারে গাছের সাঁকোটি যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।

গুরুত্বপূর্ণ এ সাঁকোটির স্থানে দীর্ঘ ১৫বছর পূর্বে একটি কাঠের পুল থাকলেও পরবর্তীতে ভেঙে যাওয়ার পর সেখানে আর নির্মাণ হয়নি পুল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পার হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। সরকারি বরাদ্দে ওই সংযোগ খালে অদ্যাবধি হয়নি কালভার্ট কিংবা মিনি ব্রিজ।

প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন ২-৩ হাজার পথচারী। স্কুলশিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন ছোট হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, শৌলখালী সুহাসিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, গোবিন্দপুর মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে, বৌলপুর বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।

স্থানীয় একাধিক পথচারী বলছেন, এ সাঁকো পার হতে গিয়ে ইতোপূর্বে স্কুলের শিশুশিক্ষার্থীসহ বয়োবৃদ্ধ অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে চলাচলে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। অনেক বছর ধরে শুনছি এ খালের ওপর ব্রিজ হবে। নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যানরা প্রতিশ্রুতি দেয়, পরে আর ঠিক থাকে না। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়? আদৌ কি এখানে ব্রিজ হবে?

স্থানীয় এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ এ সাঁকোটির স্থানে একটি মিনি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন শেখ ও আব্দুস সালাম শিকদার বলেন, হোগলাপাশা বড় খালের সংযোগে পারাপারে একসময় কাঠের পুল ছিল। ভেঙে যাওয়ায় ওখানে সাঁকো দিয়েই ১৫ বছর ধরে পার হচ্ছে গ্রামবাসী।

তারা আরো বলেন, ইতোপূর্বে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক ও মো. ইলিয়াস শেখ চেয়ারম্যান থাকাকালীন দুইবারে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে কাঠের পুলটি সংস্কার করাও হয়েছিল। বলেশ্বর নদীর সঙ্গে খালের সংযোগ থাকায় পানির স্রোতের তীব্রতার কারণে কাঠের পুল টিকছে না। এখানে একটি মিনি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে তিন গ্রামের মানুষের চলাচলে আর দুর্ভোগ থাকবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102