
লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
Dear Tagore,
I am deeply grieved to hear of the sad ——
———— !
your’s Sincerely
Abdul Ghaffar (Pakistan)
রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর তার ছেলে রথীন্দ্র নাথ কে লেখা সীমান্ত গান্ধীর চিঠি —
বিশ্বের প্রথম ধর্মভিত্তিক স্বাধীন দেশ পাকিস্তান! এদেশে সবকিছু ইসলামি শুধু মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবন হীন মানুষ গুলো! হত্যা খুন সন্ত্রাস হৃদয় অলিন্দে রক্তপ্রবাহের ধারায় জন্ম থেকে! গনতন্ত্র নামক সোনার হরিণ এদেশে কোনদিন জনগন দেখে নাই!
১৯৭০ সালে জর্ডানের হয়ে ফিলিস্তিনের ২০ হাজার মুসলমান হত্যা পাকিস্তান ইসলামের নামে করেছিলো! যাকে আজও “সেপ্টেম্বর ব্লাক চ্যাপটার বলা হয়!”
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ বাঙালি কে গিনিপিকের মত হত্যা করেছিলো, ধর্ষণ করেছিলো ৪ লক্ষ নারী (বৃটিশ হিস্ট্রি) ! হত্যা চলছে বেলুচিস্তানের ধর্মপ্রাণ জনগনকে, ৪০ হাজারের মত হত্যা হয়েছে! অথচ বেলুচিস্তান হচ্ছে মোট পাকিস্তানের ৪০% ভুল্যান্ড ! তারা খনিজে সমৃদ্ধ কিন্তু অভুক্ত কারন সে খনিজ নিয়ে যাওয়া হয় পিন্ডি কে উন্নয়ন করতে! তাই তারা মুক্তি যুদ্ধ শুরু করেছে বাংলাদেশের মত, গঠন করছে B L A.
প্রিয় পাঠক, অখণ্ড ভারতে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নায়কদের মধ্যে মহাত্মা গান্ধী, খান আব্দুল গফ্ফার খান, জওহরলাল নেহেরু, সুভাষ বসু ছিলেন প্রথম সারির সিদ্ধান্ত গ্রহন কারী নেতা। গফ্ফার খান ছিলেন “গান্ধী” সমতুল্য তাই তাকে বলা হতো সীমান্ত গান্ধী! তিনি এক লাখ পাখতুন নিয়ে সুভাষের মত বিরাট বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন! তিনি স্ব সশস্ত্র হতে চেয়েও গান্ধীর অহিংস তে অবস্থান নেন! তিনি কতবড় নেতা ছিলেন, যাকে গান্ধীর পাশে চেয়ার দেয়া হতো, অনেক সভায় তাকে সভাপতি করা হতো, তিনি ৪৪ বছর বয়সে বাংলায় এলে ৭৩ বছরের “বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ’ “বোলপুর রেল স্টেশনে” সারা রাত বসে থেকে তাকে রিসিভ করেছিলেন!
১৯১৮ সালে অমৃতসরে ডঃ মানিকের গ্রেফতারের প্রতিবাদ মিটিংয়ে ব্রিগেডিয়ার ডায়ারের নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগ চারিদিকে ঘেরা মাঠে উপস্থিত সব লোক হত্যা করেছিলো বৃটিশ সেনারা! রবীন্দ্রনাথ তার বৃটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি বড়লাটকে ফেরত পাঠান, কবি নজরুল গ্রেফতার হন, খান আঃ গফ্ফার খান নিজে ঘটনা স্হানে যেয়ে “বিগ্রেডিয়ার ডায়ার” কে কৈফিয়ত চান! ডায়ার সবিনয়ে উল্টো প্রশ্ন রাখেন,”আপনি মুসলমান, এসব সংগ্রামে জড়াচ্ছেন কেন, বরং মুসলমান নিয়ে যে কোন কিছুর বিনিময়ে সংগ্রাম থেকে চলে যান! সীমান্ত গান্ধী বলেছিলেন, “তুমি সব মুসলমান লাশ পোস্টমর্টেম করো, একজন মুসলমানের যদি পালায়ন রত পিঠে গুলি খেয়ে থাকে আমি সব মুসলমান নিয়ে ভারতের স্বাধীনতা থেকে সরে যাবো!
স্মর্তব্য, ৬৯ লাশ পোস্টমর্টেম করার পর “ডায়ার” পোস্টমর্টেম করা বন্ধ করে দেন! দেখা যায় ৬৯ জনের সবার বুকে গুলি All they received bullets on their cheats!
প্রিয় পাঠক, এমন নেতাকে পাকিস্তান ভাগ হওয়ার ১৭ বছর পর দেখা গেছে ১৫ বছর তাকে জেলে কাটাতে হয়েছে! তাকে “হিন্দু ও ভারতের দালাল” বলা হতো পাকিস্তান শাসকদের ভাষায়! তিনি যেন বাংলাদেশের আর এক মুজিব!
তিনি রবীন্দ্রনাথ নজরুল ভক্ত ছিলেন! তাকে অখণ্ড ভারতে “ভারত রত্ন” উপাধি দেয়া হয়েছিলো! তিনি রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর ছেলে রথীন্দ্র নাথকে শোক বার্তা দিয়েছিলেন! আবার ও এসেছিলেন শান্তি নিকেতনে! ইন্দিরা গান্ধী শাসন আমলে ভারতে এলে বিমান সিঁড়ি তে নিজ হাতে ব্যাগ নিয়ে নামলে ইন্দিরা গান্ধী সে ব্যাগ নিজে বহন করে গাড়ীতে তুলে দিয়েছিলেন! সীমান্ত গান্ধী বলেছিলেন, “সংগ্রাম করে স্বাধীনতা আনলাম, তাড়িয়ে দিলেন নিজ ভূখন্ডে, কিছু নাই, ছিলো একটা কাপড় বহন করা ব্যাগ তা-ও নিয়ে নিলেন?” ইন্দিরা গান্ধীর সাথে তার ছেলে রাজীব গান্ধী ছিলন! ছবিতে দেখুন! নেতা কারা, ভদ্রতা, মানবতা মনুষ্যত্বর কাছে ধর্ম গৌণ! আমাদের পরিচয় আমরা মানুষ। নেতা জানে কিভাবে নেতাকে সন্মান জানাতে হয়!