নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতির উদ্দ্যেশ্য পবত্রি ঈদুল আজহার শুভচ্ছো বার্তা দিয়াছেন জনতার কথা বলে এর ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য পদর্প্রাথী জননেত্রী সৈয়দা লিমা হাসান ।
বৃহস্পতিবার দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি জাতির মঙ্গল কামনা করে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
শুভেচ্ছা বার্তায় জননেত্রী সৈয়দা লিমা হাসান বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের সব নাগরকিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। ঈদ আমাদের মাঝে শান্তি ভ্রাতৃত্ব এবং সহর্মমিতার এক অভূতর্পূব বন্ধন তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে সাম্য, সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে, সামাজের আদর্শ মানুষ হতে শিখায়। সমাজের শ্রেণিগত বিভেদ দূর করে দারিদ্র্য পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা ও সুবর্ণ সুযোগ দান করে। পশু কোরবানির মাধ্যমে মানব মনে বিরাজমান যাবতীয় পশুত্ব তথা নির্মমতা, ক্রোধ, হিংসা, অত্যাচারী মনোভাবের অশুভ কর্মকাণ্ডের মূলোৎপাটন ঘটানোর দীক্ষাই কোরবানির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ পেয়ে থাকে। নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে কোরবানির মাংস বণ্টনের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের আবহ তৈরি হয়। মানবতাবোধের জয়ধ্বনি দিয়ে মুসলিম সমাজের সব শ্রেণির মানুষ সব ধরনের মতপার্থক্য ভুলে একে অন্যের সঙ্গে ঈদের আনন্দ বিনিময় করে জবাইকৃত পশুর মাংস নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়, যাতে রয়েছে সামাজিক সমতার মহান আদর্শ।
মানব সভ্যতার বিকাশে মুসলমানদের জন্য কোরবানির ত্যাগ ও সম্প্রীতির শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, ত্যাগ-ব্যতীত কেনো সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। পিতামাতার ত্যাগ ও কোরবানির বদৌলতেই সন্তান প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠে। তেমনি কোরবানি মুসলমানদের শুধু আনন্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সব ধরনের হিংসাবিদ্বেষ ও ভেদাভেদের কালো পাথরকে ভেঙে দিয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহানুভূতিশীল আচরণের শিক্ষাই দেয়, যা তাদের ঐক্যের বন্ধনে একীভূত করে শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রাণিত করে। ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষা ও আদর্শ গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে সেটি প্রতিফলিত করতে পারলেই শান্তিপূর্ণ সামাজিক সহবস্থান নিশ্চিত হবে।
সৈয়দা লিমা হাসান আরো বলেন, মানবসভ্যতার বিকাশে মুসলমানদের কোরবানির ত্যাগ ও সম্প্রীতির শিক্ষার গুরুত্ব ব্যাপক। কেননা, ত্যাগ ব্যতীত কোনো সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণ করা সম্ভব নহে। ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষা ও আদর্শ গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে তা প্রতিফলিত করতে পারলেই শান্তিপূর্ণ সামাজিক সহাবস্থান নিশ্চিত হবে। তবে এজন্য কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসরণপূর্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরও জোর দিতে হবে। এব্যাপারে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সকল নাগরিককে হতে হবে সচেতন ও দায়িত্বশীল।
তিনি জাতীয কবি কাজী নজরুল ইসলামের শহীদী-ঈদ কবিতার দুটি লাইন উল্লেখ্ করে বলেন
“মনের পশুরে করো জবাই,
এতে পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই” তিনি মুলত বলেছেন নিরহ পশু কুরবানীর ভেতর দিয়েই মনের পশুকে জবাই করতে হবে। কুরবানী কেবলই একটি প্রাণী জবাই করা নয়। এর ভেতর নিহিত রয়েছে অনেক তাৎপর্য।
তিনি আহবান জানিয়ে বলেন আসুন, আমরা বনের পশুর সাথে মনের পশুত্বকেও কুরবানী করি, যেন আমাদের মন আল্লাহর বিধান বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়। আল্লাহর বিধানের সামনে কোন খোঁড়া যুক্তি খুঁজে না বেড়ায়।
পবিত্র ঈদে আমরা সবাই সবার কল্যাণ কামনা করি। জাতির জন্য শান্তি চাই এবং পৃথিবীর জন্য শান্তি চাই। সবার জীবন স্বার্থক হোক, আনন্দময় হোক।
সবাইকে আনন্দঘন মুর্হূতে দেশের উন্নতি ও কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে
তিনি আরও বলেন ‘এ ঈদ আমাদের মাঝে আরো গভীর ভালোবাসা ও সহযোগতিার সূচনা ঘটাবে। আসুন, আমরা একসঙ্গে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপুর্ণ উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি
মহান প্রভু আমাদরে সহায় হোন। ঈদ মোবারক।