লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বিশ্বে প্রায় ২৩% মানুষ মুসলমান। ৫৬ টা মুসলিম দেশ!
আজ প্রায় ৭০/৭১ বছর ফিলিস্তিন নামক মুসলমান দেশ টা একটা মাত্র ইহুদি দেশ ইসরায়েলের হাতে মার খাচ্ছে। দাড়ি-টুপি জুব্বার মুসলমান সারা বিশ্বে পরিলক্ষিত হয় কিন্তু কুরআনের মুসলমান যাচাই-বাছাই করা যায় ফিলিস্তিনের উপর অবিচারের বিরুদ্ধে কারা সোচ্চার? একমাত্র ইরান ছাড়া আর কেউ মুসলমান দরদী নাই! অথচ আমাদের দেশের অশিক্ষিত চার ক্লাস আরবী পড়া মসজিদ ইমামকে জিজ্ঞেস করেন তারা মুখস্থ বলে দিবে, “ইরানিরা শিয়া, ওরা মুসলমান না! ”
মজার কথা হচ্ছে নবী করীম সঃ মুসলমানদের সূদুর চীনে যেতে বলেছেন জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন করতে আমাদের “কওমীরা” বিজ্ঞান আর নারী শিক্ষা হারাম করে দিয়েছে তাদের শিক্ষা পদ্ধতি তে এই দুই বার্তা নাই!
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যত ধর্মের টানাটানি বিশ্বে আর কোথাও কোন লোক মনে করে না স্বর্গে বা বেহেশতে তাদের জন্য ইমারত গড়া আছে! অথচ ইরানে বিজ্ঞান ও নারী শিক্ষায় সব মুসলিম দেশ থেকে উন্নত! যারা পরমাণু বোমার কাঁচা মাল Purified Uranium তৈরি করতে পারে!
প্রিয় পাঠক, আমার বিষয় ইরানের এই পরমাণু কেন্দ্র বার-বার ইসরায়েল হামলা চালায় যা অবৈধ হামলা ও অনাধিকার চর্চা বৈ কিছু না! ইরানের পরমাণু চুক্তি হয়েছিলো ইউরোপীয় প্রভাবশালী দেশগুলোর সাথে ২০১৫ সালে, কিন্তু অজ্ঞাত কারনে হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে যায়! আপনারা শুনে খুশি হবেন ইরান ১২১ফিট মাটির নিচে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র করেছে প্রায় ৭ টা বিভিন্ন দূরত্বে!
একটা কেন্দ্র ২০১০ সালে ইসরায়েল বোমায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো! গত কাল ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ চালালে ইরান ব্যাপক পাল্টা আক্রমণ চালায়!
তুরস্ক থেকে সাংবাদিক “সরোয়ার আলম” বলেছেন, “ইসরায়েল ইরানের এয়ার এ্যাটাক, শত ড্রোন প্রেরন ও মিশাইল আক্রমণে পুরা ইসরায়েল লন্ডভন্ড ! প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু ও ৫০ জন আহত!
প্রশ্ন থেকে যায় এত বড় আক্রমণে মৃত্যু হার তুলনামূলক কম কেন?
আসলে ইসরায়েল কে মার্কিন মুসলমান নিধনের একটা বাফার স্টেট করে নিয়েছে! অস্হির সেখানকার নাগরিক জীবন! এই যুদ্ধ বাজ দেশটার প্রতি পরিবারের বসবাস স্হলে ডিজাউন্ড বাংকার তৈরি আছে! সরকার সাইরেন বাজালে সেখানে ঢুকে পড়ে! ফলে মৃত্যুর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম হয়! ইসরায়েলের দুটো যুদ্ধ বিমান F — 35 ইরান ভূপাতিত করেছে ! এ বিমান আমেরিকার তৈরি সব শেষ টেকনোলজিস দিয়ে তৈরী। ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেদ করে আঘাত হেনেছে! এমনি ৫৬ টা মুসলিম দেশ একই N A T O র মত জোট করলে কি অসুবিধা?
গতকালের ইরানি আক্রমণ উপভোগ করছে রোডে নেমে ইয়েমেন ও গাজাবাসীরা। তারা দ্রুত বড় পর্দা রোডে রোডে দিয়ে জনগনকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে ! ঝাঁকে ঝাঁকে মিশাইল ও ড্রোন হামলা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে নেতানিয়াহু দেশ ছেড়ে পালিয়েছে নিরাপত্তার জন্য !
আমাদের দেশের মুসলমানরা যারা পথে ঘাটে মাঠে ওয়াজ নসিহত করে আমাদের বেহেশতে পাঠান এবং ওয়াজের মাঠ কে বেহেশতের বাগান বলে পয়সা তোলেন তারা এই হামলার খবর অনেকে জানেন না কারন দঃ এশিয়ার মুসলমানরা ততক্ষণে কয়েক সহস্র বাচ্চা পয়দা করায় ব্যস্ত! সকালেও এদেশের সরকারের তেমন প্রতিক্রিয়া দেখলাম না মিডিয়ায়!
পাঠক লক্ষ্য করুন, ৫৭ টা মুসলিম দেশ! তার মধ্যে প্রায় ১৫ টা মুসলিম দেশ জ্বালানি তেল সমৃদ্ধ। একা ইরান তেল উৎপাদনে চতুর্থ বৃহত্তম! অথচ তাদের মুসলিম ভাই ফিলিস্তিন মার খেতে খেতে জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে! নির্লজ্জ এই জাতিটা চার বিবি পালন ছাড়া আর কোন কাজের না! দঃ এশিয়ায় দেখবেন দাড়ি-টুপি জুব্বা থাকলেই সে মুসলমান, বেঁচে আছে বেচে পাক কুরআন, মৃত্যু ভয়ে ভীতু, নাই কুরআনের ঈমান!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন ইরান ফিলিস্তিন ভাইদের জন্য দোয়া করেন! মসজিদ মাদ্রাসায় দোয়া হবে না, যদি আমেরিকা অখুশি হয়?