মোরেলগঞ্জে পৌর শহরের সড়কগুলোর বেহাল দশা। পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়ে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি এখন চরমে। টানা বর্ষণে অধিকাংশ সড়কগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে ও ড্রেনগুলোতে পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বসতবাড়িতে পানি ঢুকে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি পৌরবাসীর দুর্ভগ লাঘবের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানগুছি নদীর তীরবর্তী উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর সভাটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর সি গ্রেডে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ‘এ’ গ্রেডে উন্নত হলেও শহরের সড়কগুলোতে পরিবর্তনের ছোয়া লাগেনি। মেইন সড়কে ৬/৭টি ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও তা নিয়মিত পয়ঃনিস্কাশন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যে কারনে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীর। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা ৩ বারের পৌরসভার একক মেয়র এসএম মনিরুল হক থাকায় তেমন একটা দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি এ পৌরসভায়। কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে পৌরবাসী। নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করেও পৌরবাসী পায়নি সুপেয় পানি, ড্রেন, সড়ক বাতি, নির্ধারিত ডামপিং স্টেশন না থাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তৃপ করে ফেলা রাখা হচ্ছে সড়কের পাসেই। দুর্গন্ধ পোহাতে হচ্ছে পথচারিদের। এদিকে মেইন সড়কগুলোতে কর্মকার পট্টি হয়ে নব্বইরশী অভিমুখি এক কিলোমিটার কার্পেটি রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে খানা খন্দ, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস সংলগ্ন আদর্শপাড়া সড়ক, নব্বইরশী বালুর রাস্তা, উপজেলা প্রশাসনিক চত্বর, ফেরীঘাট সংলগ্ন সড়কসহ অধিকাংশ রাস্তাগুলো এখন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত দুই দিনের একটানা ভারী বর্ষণে সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে দূরের কথা ভ্যান, ইজিবাই, মোটরসাইকেলে চলাচলেও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
পৌরবাসিন্দা এ আর খান ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. হাবিবুল্লাহ, ভ্যানশ্রমিক রাব্বি মোল্লা, ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া, রহিম হোসেন, কামরুল ইসলাম, সজিব আকন বলেন, আর কতদিন এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে? ‘এ’ গ্রেডের পৌরসভার এরকম চিত্র হয়তো আর কোন জেলায় নেই। পৌর প্রশাসকের প্রতি সড়কগুলো পুনঃনির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রশাসক হাবিবুল্লাহ বলেন, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার দীর্ঘদিনের এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য একটু সময় লাগছে। ইতোমধ্যে ড্রেনগুলোর পয়ঃনিষ্কাশনের কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে শুরু করা হয়েছে। সড়কগুলো উচুঁ করে পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অচিরেই কয়েকটি রাস্তার কাজ শুরু হবে।