আলো প্রতিবেদক
পুরান ঢাকায় বসবাসরত, শেখ মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন,পিতা: শেখ মোহাম্মদ জমিরউদ্দিন,
ঠিকানা- ২১৯/২২০, সাবেক কোতয়ালী, বর্তমানে বংশাল থানাধীন, ৩৪ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও জন্মসূত্রে তিনি বাংলাদেশী নাগরিক।
মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন, তিনি ১৯৭২ সালের ১৭ই মে, আগামাসী লেন, নাজিরা বাজার এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব – কৈশোর,নবাবপুর রোড এলাকায় বেড়ে উঠেন।
শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯৯২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে,উচ্চ মাধ্যমিক এ পড়াশুনা শেষ করেন তিনি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতা আসার পরে, নবাবপুর ইউনিটে বিএনপি, জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা -সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন তিনি। শেখ মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন, তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, পরবর্তীতে কলেজ ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হইলে, তখনকার আমলে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের, কোন ছাত্র রাজনীতি বা সবরকম রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল বিধায়, আমি ও আমার বংশাল তখনকার ৭১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মমিন হোসেন কে নিয়ে, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের বৃহত্তর কোতোয়ালি থানার,আহ্বায়ক হিসাবে জনাব মমিন হোসেন ও আমাকেসহ আরো দুজনকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেন,তখনকার ঢাকা মহানগর ছাত্রদল সভাপতি শহীদ নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ভাই, সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল আলম নীরব এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আকিল ভাইয়ের কমিটিতে তখনকার আমলে, বৃহত্তর কোতোয়ালি থানা ৬টি ওয়ার্ডের গঠিত ছিল। যেহেতু তখনকার আমলে ছাত্রদলের কোন সংগঠন না থাকায়,
আমাদেরকে ৬টি ওয়ার্ড নিয়ে বিভিন্ন মহল্লায় ইউনিট/ ওয়ার্ডের সভাপতি সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃহত্তর কোতয়ালী থানা ৬টি ওয়ার্ড, প্রত্যেক ওয়ার্ডের ইউনিট/ ওয়ার্ড কমিটি গুছিয়ে,আমরা ঢাকা মহানগরে বৃহত্তর কোতোয়ালি ছাত্রদলের সভাপতি জনাব মমিন হোসেনকে ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসেনকে করে, ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
আমার রাজনীতি তখন হতে হাতে খড়ি দিয়েছিলেন, শহীদ মরহুম নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ভাই,
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৭ সালের কোতয়ালী থানা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সংগঠনে যোগ দেই , ২০১১ সাল পর্যন্ত যুবদলের সকল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি এবং আন্দোলন সংগ্রামেও অংশগ্রহণ করি। ২০১৪ সালের পাতানো নির্বাচনে ১২০ দিনের অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। তিনি আরো বলেন, আমি শেখ মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন, বিগত ২০১৬ সালে, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। স্বনামধন্য একটি ব্যবসায়িক সংগঠন। এই সংগঠনে আমি কয়েকবার নির্বাচন করার সময় ব্যবসায়িকভাবে আমাকে স্বৈরাচার সরকার হয়রানি করে । যেহেতু বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের সাথে তাই তারা বিভিন্ন কায়দায় বিপদে ফেলার চক্রান্ত করে আসছিল বারবার। ২০১৮ সালে নির্বাচন করার সময়, আমাকে নানারকম মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে জেলে রাখার চক্রান্ত করেছিল।স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক,মাইনুর রহমান জুয়েল।কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে আমি সেখান থেকেও অব্যাহতি পাই। পরবর্তীতে আমাকে এফবিসিসি এর জিবি মেম্বার ও ইলেকট্রিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি নির্বাচিত করে দায়িত্ব দেওয়ায়,বর্তমানে সে দায়িত্ব পালন করে আসছি আমি।
বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে,আন্দোলন সংগ্রাম করে আসার সময় ২০২৪ সাল পর্যন্ত,বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ভোট চোর,খুনি শেখ হাসিনার আন্দোলন সংগ্রাম করে আসার সময় ও মিথ্যা মামলায় জড়িত করে দেয়। যার ফলে ৫-৬ বার কারাবরণ করি। আর্থিকভাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হই নানাভাবে।
গত ২৮ শে অক্টোবর পল্টনের বর্বরোচিত হামলায়, আওয়ামী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ফলে , সে সময়কাল ২৮ শে অক্টোবর, অবৈধ সরকারের অবৈধ মামলা, মোট ৬১টি মামলায় জর্জরিত করে রেখেছিল আমাকে। এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার, ভোট চোর সরকার।
বর্তমানে বিএনপি বংশাল থানার সভাপতি পদপ্রার্থী, আমি,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি’র সাথে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করে আসছি। যদি আমাকে বংশাল থানা বিএনপির সভাপতি মনোনীত করা হয়। এই এলাকার তথা ৩৪ নং ওয়ার্ডের অন্যান্য ওয়ার্ডসহ সকল বিএনপি নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত করে, দলকে এবং বংশাল থানাকে শক্তিশালী করে এলাকা ও দেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমি বদ্ধপরিকর।
২০২৪ এর ৫ই আগষ্ট এর পরে, ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনার দোসরেরা এখনও চক্রান্ত করে আসছে বিভিন্নভাবে । বর্তমানে বিএনপি রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে,নিজের দায়িত্ব পালন করে আসছি। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে আমাকে দল থেকে এলাকার সভাপতির দায়িত্ব দিলে, সেখানে চাঁদাবাজ, দখলবাজ,মাদক ব্যবসাসহ সকল অপকর্ম কে নির্মূল করার আপ্রান চেষ্টা করব। আমার প্রান প্রিয় রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জনপ্রিয়তা ধরে রাখার স্বার্থে চেষ্টা করব।
সর্বপরি আমার ৩৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ বংশাল থানার সকল বিএনপির নেতা কর্মীকে সুসংগঠিত করে এলাকার সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবো। ইনশাল্লাহ।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক বিভিন্ন জনগণ, ব্যবসায়ী ও প্রতিবেশির সাথে কথা বলে জানতে পারেন, শেখ মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন, তিনি একজন সুন্দর মনের মানুষ, কর্মী বান্ধব একজন রাজনৈতিক নেতা, উক্ত এলাকার একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষা বান্ধব এবং প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী হিসাবে সমগ্র এলাকায় সুপরিচিত।