খুলনা অফিস:
চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস ১৯৯৯ সালে বরিশাল থেকে শিল্পী হওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল ঝালকাঠি থেকে পাড়ি জমায় খুলনা শহরে
আর্ট কলেজে পড়ার উদ্দেশ্যে। পড়াকালীন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে খুলনার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে আসছেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস। তিনি নিজে ২০০৩ সাল থেকে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন খুলনা আর্ট একাডেমি নামে।এটি একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠানে খুলনার সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সম্মানিত সুধীজনরা বিভিন্ন প্রোগ্রামে অতিথি হয়ে পদধূলি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে গুনী মানুষ আছেন তারা বহু গুণে গুণান্বিত রয়েছেন এমনই একজন মানুষ শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি অসাধারণ গান করে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এবং শিক্ষক হিসেবে একজন মানুষ গড়ার কারিগর। পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৪০সালে স্থাপিত হয়েছে। সেই স্কুলে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তারই সঙ্গে তিনি সংগীত চর্চায় খুব পারদর্শী।খুলনার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সুপরিচিত ব্যক্তি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তার অন্তরের অন্তস্থল থেকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করেন। মিলন বিশ্বাস বলেন আজ ৩০ শে জুন সকাল ১০ টার দিকে খুলনা আর্ট একাডেমির চারুকলা ভর্তি কোচিং এর ২০১৫ সালের ষষ্ঠ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার মন্ডল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলার উপরে অনার্স মাস্টার্স পড়াশোনা শেষ করেন। খুলনা আর্ট একাডেমিতে দেখা করতে আসেন তখন তাকে নিয়ে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বাহিরে ঘুরতে বের হয়। তখন মিলন বিশ্বাস তার প্রিয় ছাত্রকে বলেন চলো তোমাকে নিয়ে একজন আদর্শ শিক্ষকের কাছে পরিচয় করিয়ে দেই। তখন গোবরচাকা মেইন রোড, খুলনা পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছালে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জানতে চায় আপনারা কার সাথে দেখা করবেন। মিলন বিশ্বাস বলেন রফিকুল ইসলাম স্যার আছেন। তিনি বললেন স্যারের রুমে অতিথি আছে আপনারা এখানে অপেক্ষা করুন। তখন মিলন বিশ্বাস খুলনা আর্ট একাডেমির ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বললেন এটি স্যারের কাছে পৌঁছে দিন। কার্ড নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই মিলন বিশ্বাসকে ভিতরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। ভিতরে গিয়ে স্যারের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয় তখন ভিতরের অথিতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রফিকুল ইসলাম স্যার। তিনি হলেন আরো একজন গুণী মানুষ মো.ইমরান মিয়া বয়সের নবীন হলেও তার কর্মদক্ষতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট নামক বেসরকারি সংস্থায় প্রকল্প কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি খুলনার ন্যায্য নগর নিয়ে কাজ করছেন। যেখানে সকল শ্রেণীর মানুষের অন্তর্ভুক্তিতে ভবিষ্যৎ খুলনা নগর কীভাবে গঠন করা যায়। তার সঙ্গে পরিচয় হয়ে অনেক ভালো লাগলো। তখন মিলন বিশ্বাস সকলের সঙ্গে পরিচয় করে দেন তার প্রিয় শিক্ষার্থীকে । এর পরে শুরু হলো আমাদের সম্মানিত গুণীজন শেখ মো. রফিকুল ইসলাম এম,এ বি, এড (১ম শ্রেণী) এল,এল,বি। তিনি তার কর্মস্থল ছাড়াও খুলনার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের স্কুল সি ইউ সি তে নিয়মিত গিয়ে থাকেন।তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক। বহুগুণের অধিকারী। তার ছাত্র জীবনের বিভিন্ন সময়ের কথা তুলে ধরলেন সকলের মাঝে। তিনি বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন পিতা-মাতা তাকে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় তিনি তার গতিপথ পরিবর্তন করে শিক্ষকতার পেশাকে বেছে নিলেন। তার স্কুলের পরিবেশটি অসাধারণ তিনি বিভিন্ন শিল্পের এবং ইতিহাসের বিভিন্ন গুণীজনদের জীবন কাহিনী নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন। এতে মিলন বিশ্বাস বলেন তিনি হলেন জ্ঞানের ভান্ডার। আজ সুব্রতর আগমনকে কেন্দ্র করে স্যারের সঙ্গে দেখা করা হলো। তিনি দীর্ঘ সময় দিলেন এবং ভবিষ্যৎ নবীদের নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। মিলন বিশ্বাস বলেন আমার ছাত্র জীবন থেকে বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করে আসছি। আজ আপনার কাছ থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করলাম। আপনি আমাদের এই দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, স্যার। এবং চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস আরো বলেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে নবীনরা লাইব্রেরীতে যাওয়ার সময় পায়না সংক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন গাইড থেকে পড়ে শিক্ষা অর্জন করে থাকেন। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন পরিণতি ঘটেছে। রফিকুল ইসলাম স্যারের সংস্পর্শে যে শিক্ষার্থী আসবেন তার জীবন পাল্টে যাবে কারণ তারা বিভিন্ন বই পড়ে এবং গবেষণা করে যে জ্ঞান সঞ্চয় করেছে এক একটি লাইব্রেরির মতোন। বহু বিষয়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক একজন শিক্ষক তাদের সম্মান আমার কাছে সবচেয়ে বড়। এবং চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস আরো বলেন এই বয়সে এসেও বর্তমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেন। একজন ভালো মানুষকে চেনার উপায় তার ব্যবহার এবং তার ভিতরের খবর জানতে হলে তার ফেসবুক ভিজিট করে দেখলেই জানা যায় তিনি কোন প্রকৃতির মানুষ। তিনি তার অভিভাবকদের অর্থাৎ পিতামাতাকে হারিয়ে এখনো তাদের স্মৃতি ধারণ করে পথ চলেন তাই চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তার পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন যে সন্তান পিতা-মাতাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানায় তাদেরকে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস ভগবান সমতুল্য দেখেন। সর্বশেষ সকলকে চা পানের মাধ্যমে সুন্দর আলোচনার পরিসমাপ্তি ঘটায়। এ সময় চিত্রশিল্পী মিলন নিশ্বাস শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম স্যারকে খুলনা আর্ট একাডেমিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রিয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিদায় নেয় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে।