নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা আর্ট একাডেমির ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ক্লাসে উপস্থিত শিশুদের সাথে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তার মাকে সাথে নিয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করে দিনটি পালন করেন। এপর্যন্ত খুলনা আর্ট একাডেমির অর্জিত সম্মাননা স্মারক শিশুদের হাতে তুলে দিয়ে সকলের সামনে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটি পালন করতে হলে প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের সকল শিক্ষার্থী, উপদেষ্টা মন্ডলী এবং সদস্যগন সকলকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি পালন করা উচিত। বর্তমানে আমার পক্ষে এটা সম্ভব না হওয়ার কারণে আজকের উপস্থিত শিশু শিল্পীদের নিয়ে ক্লাসের শুরুতে মোমবাতি জ্বালিয়ে উপস্থিত সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন এবং সম্মানিত অভিভাবক সকলের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস। এরপরে সকল শিক্ষার্থীর হাতে চকলেট এবং মিনি কেক তুলে দিয়ে শিশুদের কোলে নিয়ে তাদের কাছে বলেন পিতা-মাতার কথা মেনে চলবে তবেই জীবনে অনেক বড় হতে পারবে। তখন উপস্থিত সকলের সম্মুখে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস এই প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।২০০৩ সালে “নিশাত আর্ট কোচিং” নামে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে খুলনার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে এর নামকরণ করা হয় “খুলনা আর্ট একাডেমি”। ২০১০ সাল থেকে চারুকলা ভর্তি কোচিং চালু করা হয়। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে খুলনা আর্ট একাডেমির সফলতা। এপর্যন্ত ২২৩জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলায় পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তার মধ্য থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা এখন বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ড্রইং শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সকাল ১০টা থেকে শিশু শিল্পীরা একাডেমিতে উপস্থিত হয়ে ছবি আঁকে এবং শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানায়। দিনভর আগত শিশুদের হাতে কেক ও চকলেট তুলে দেওয়া হয়।প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন,“করোনার সময় অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রেখেছি। এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারিনি। শিশুদের প্রতি আমার ভালোবাসা অভিভাবকেরা জানেন। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে ভবিষ্যতেও এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মৃত্যুর পরেও যেন আমার কর্ম শিক্ষার্থীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকে সেটাই কামনা করি।”তিনি এ সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সকল কার্যক্রম গণমাধ্যমে পৌঁছে দেয়ার জন্য সাংবাদিক ভাইয়েরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সকল সাংবাদিক ভাইদের প্রতি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং সাংবাদিকদের জন্য শুভকামনা জানান। একই সঙ্গে তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন দেশের কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত থাকে।