কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
ভরা-ভাদ্রে তীক্ষ্ণ খরা
গরমে যেন অর্ধেক মরা!
হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি ঝরা
পচন ধরায় সবুজ ধরা!
গুরুগুরু মেঘের ডাক
বিজলির ঝিলিক লক্ষ হাক!
ভেজে গাছ ভেজে মাঠ
কানায় কানায় ডোবে ঘাট,
কেয়াফুল আর ছাতিম তলায়
ছেলে-মেয়েরা, পালা পালি খেলায়
মায়ে ডাকে ঘরে উঠে আয়
বকা খেয়ে ভিজে, দূরে পালায়!
ব্যাঙ গুলো সব জোড়ায় জোড়ায়
কূলে উঠে সবে আনন্দ নেশায়,
ডেকে চলেছে সমস্বরে
কৃতজ্ঞতা যেন সেই ঈশ্বরে!
আকাশটা যায় না দেখা
মেঘের চাদর সদা গায়ে ঢাকা!
আবার হঠাৎ অগ্নি খরা
বন্ধ হতেই বাদল ধারা,
ভাদ্রের নিশি মেঘ ঢাকা শশী
মুষল ধারায় বৃষ্টি আসি
ভিজিয়ে দেয় উঠানে শুকানো ধান
এমনি বৃষ্টি খরার কত মান অভিমান!
সুপ্ত প্রেমের জোয়ার বুকে
যামিনী ভর কেউ ঘুমাচ্ছে সুখে!
কলসী ধারার এই বর্ষা
রোদ উঠবে ভোরে, নাই ভরসা!
মধুমতী মেঘনা পদ্মারজল
ঝড়ো বাতাসে টাল মাতাল,
কত নৌকা হবে ডুবি
আমি কাকে ভাবি কবি?
সেকি ভাবছে, আমার কথা
আমার মত রাত জাগছে অযথা?
কেউ বলুক এসে ভালোবাসি
ভাদ্রের বর্ষায় উজার করুক আসি,
ভেঁজা মাঝি আর রাখেলের প্রমোদ গানে
বার-বার কাকে যেন আসে মনে!
ইচ্ছে হয় নিভৃত কম্বলে ঢাকি কপোত যুগল
ঘরে দেই তাকে নিয়ে সারা নিশি আগল !