বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কটিয়াদীতে গভীর শ্রদ্ধা ও নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন কবি নাসির আহমেদের সম্পাদনায় খুলনার কবি সাহিত্যিকদের জীবনালেখ্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন বাজিতপুরে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাবোর্ডের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে খুলনা মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন কবিতাঃ তুমি আসবে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্টুডেন্টস কেয়ার জগন্নাথপুর ও জগন্নাথপুর যুব ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত জগন্নাথপুর উপজেলা ভিত্তিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায় মেধাবৃত্তি পরিক্ষার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন কবিতাঃ বিজয়ের মাস “সিআইপি” হিসেবে উপদেষ্টা ড.আসিফ নজরুল এর কাছ থেকে থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহন করছেন শফিকুল ইসলাম রাহী কবিতাঃ সত্যের জয়

হরতালের নামে জনদুর্ভোগ: গণতন্ত্র কি ভুল পথে হাঁটছে?

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৭ Time View

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে হরতাল একটি বহুল পরিচিত এবং বহু ব্যবহৃত আন্দোলনের মাধ্যম। তবে প্রশ্ন উঠেছে, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই হরতাল কি আদৌ গণতান্ত্রিক, কার্যকর ও জনবান্ধব কোনো কৌশল হিসেবে গণ্য হচ্ছে? নাকি এটি শুধুই একটি চিরাচরিত অথচ অকার্যকর হাতিয়ার, যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ?

সম্মিলিত নাগরিক কমিটির ডাকা হরতালে বাগেরহাট ৪ আসনের ৯ উপজেলায় গাছ ফেলে কিংবা টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কে চলাচলকারী অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অফিসমুখী কর্মজীবী মানুষদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে দীর্ঘ ভোগান্তির মধ্য দিয়ে।

প্রশ্ন হলো—এই হরতালে যদি সত্যিই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন থাকত, তাহলে রাস্তা অবরোধ কিংবা জবরদস্তির আশ্রয় নেওয়ার দরকার হতো না। মানুষ স্বেচ্ছায় ঘর থেকে না বের হয়ে হরতাল সফল করত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, জনগণ নানা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছে, অথচ রাজনৈতিক কর্মীরা তাদের চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এতে জনগণ যেমন ক্ষুব্ধ হচ্ছে, তেমনি আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিও হারাচ্ছে।

ব্যক্তিগতভাবে অসংখ্য নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখেছি, তারা রাস্তায় চলতে না পেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাদের মতে, রাজনীতির নামে এমন হয়রানি মেনে নেওয়া যায় না। তারা বলছেন, রাজনৈতিক দলের দাবি যৌক্তিক হলেও, তা আদায়ে এই ধরনের কৌশল জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়।

বর্তমান আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হলো ৪টি আসন বহালের দাবি। নিঃসন্দেহে এই দাবিটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে গুরুত্বপূর্ণ দাবির পেছনে যদি জনসমর্থন হারিয়ে ফেলে একটি রাজনৈতিক দল, তাহলে তা নিজের অস্তিত্বকেই সংকটে ফেলে দেয়। জনগণের বিরাগভাজন হয়ে দাবি আদায়ের আশা করা একধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা।

এছাড়া আলোচনায় এসেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোটের সুযোগ চালু হতে পারে। যদি তা সত্য হয়, তবে এটি হবে জনগণের হাতে একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানোর উপায়। অসন্তুষ্ট ভোটাররা তখন কোনো প্রার্থীকেই সমর্থন না দিয়ে সরাসরি ‘না’ ভোট দিয়ে তাদের হতাশা ও বিরক্তি প্রকাশ করবেন।

তাই এখনই সময়, রাজনৈতিক দলগুলোকে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের আন্দোলনের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। আন্দোলন হোক জনবান্ধব, দাবি হোক বাস্তবসম্মত, আর পন্থা হোক আইনি ও সাংবিধানিক। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যেতে পারে। নির্বাচন বর্জন বা প্রতীকী প্রতিবাদও হতে পারে এক বিকল্প পন্থা।

কিন্তু বারবার হরতাল-অবরোধ ডেকে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা কোনো সভ্য রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে না। কারণ, গণতন্ত্র মানেই জনগণের ক্ষমতায়ন। জনগণকে কষ্ট দিয়ে কখনোই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

সর্বশেষে বলতেই হয়—রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা উচিত জনসাধারণ। তাই জনগণকে পাশে না পেলে, কোনো আন্দোলনই টেকসই হয় না, ইতিহাস তা বারবার প্রমাণ করেছে।

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির চেয়ারম্যান জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রিয় কমিটি ঢাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

সরিষাবাড়িতে তুখোড় ছাত্রদল সেক্রেটারি সহঃঅধ্যাপক রুকন আর নেই মতিউর রহমান,সরিষাবাড়িঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সদস্য সচীব ও সরিষাবাড়ি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক সহঃ অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম রুকন গত রাত ২:৩০ ঘটিকায় উত্তরা হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছেন।ইন্নাহ,,,,,রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। মহাদান ইউনিয়নে জন্মগত নাগরিক ও স্থায়ী বসতি শিমলা টাউন। মরহুম রিয়াজ উদ্দিন ডাক্তারের ২য় সন্তান মাজহারুল ইসলাম রুকন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ভাই ২ বোন ও স্ত্রী- সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে গেছেন। ৭ ডিসেম্বর বাদ আছর সরিষাবাড়ি আরডিএম মডেল পাইলট হাই স্কুল মাঠে তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের জানাযা নামাযে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম,সরিষাবাড়ি কলেজের সহঃ অধ্যাপক খায়রুল আলম শ্যামল,আমিমূল এহসান শাহীন,পৌর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মেয়র ফয়জুল কবির তালুকদার শাহিন,সাধারণ হসম্পাদক জহুরুল ইসলাম পিন্টুসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অধ্যাপক /শিক্ষকবৃন্দ/ কর্মচারীবৃন্দ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও অসংখ্য গুনগ্রাহি উপস্থিত থেকে বিদহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102