লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের পতন হয়ে গনতন্ত্র আসে নেপালে! নেপালে লোকসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি! মাত্র ২৬ টা সোশাল মিডিয়া, যেগুলো সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে থাকে। বন্ধ করে দেয় সরকার সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ছাত্ররা রোডে নেমে আসে! ছোট বিষয়টা বাংলাদেশের মত জটিল হয়ে যায়। ছাত্রদের ভিতর ওঁৎ পেতে থাকা রাজনৈতিক গোষ্ঠী ঢুকে যায়! হতে পারে খুনি জ্ঞানেন্দ্র সেই নিজ ভাই রাজা বীরেন্দ্র ও তার উত্তরসূরি সবাইকে হত্যা করে রাজা হয়েছিলো, তার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে! সরকার ও ধোয়া তুলিসি পাতা না! সব মন্ত্রীর বেতন ৫০/৬০ হাজার টাকার বেশী না তবে আয়েসি জীবন, দামী গাড়ী বাড়ী, বিদেশ ভ্রমণ কোথা থেকে আসে! এই Luxury fashionable life of Government the poor people’s come to the notice. বাংলাদেশের মত ফুটপাতে ঘুমানো ইউপি চেয়ারম্যানের ইংলিশ কমোড আর বাথটাব ওয়ালা বিল্ডিং যেমন গ্রাম ইউনিয়ন উপজেলা জনগন কে সরকারের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিলো। এত উন্নয়নের পরে-ও সাধারণ জনগণের চোখে ভাসে দুর্নীতির চাক্ষুষ প্রমান, তেমনি নেপাল সরকার ও জনগণের আস্হা হারায়! জনগন সরকারের পক্ষ থেকে সরে দাড়ায়, ছাত্ররা ধাবিত হয় রোডে মাঠে, আগে টিয়ার শেল, জল কামান, তারপর বুলেট ছুড়লে হত্যা! প্রায় ২৫/৩০ জন নিহত হলে ছাত্রদের দল পার্লামেন্ট ভবন, সহ সরকারি সব ভবন ঘিরে ফেলে! বাংলাদেশের মত অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু সুবিধা বাদী ঢুকে হিলটন হোটেল পর্যন্ত আগুন দেয়! সরকার পতন হয়।
এককালের বিচারপতি “শশীলা কারকি” অস্হায়ী সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য তিনি পতিত সরকার বিরোধী লোক! তাকে পছন্দ করা হয়েছে।
কেন শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ এবং নেপালের একই ধরনের ঘটনা ঘটলো? তা হলে কি বৃহৎ শক্তির কোন মদদ ছিলো? সেখানে কি কোন দেশের ২৯ মিলিয়ন ডলারের খেলা ঘটেছে? নেপাল অত্যাধিক এগিয়ে ছিলো চীন ভারতের ছত্র ছায়ায়! চীনের সাথে ভারত রাশিয়া ইরান একটা এ্যালায়েন্স জোরদার হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিশ্ব বৃহৎ শক্তিধর দেশ! ভারতকে খন্ড করার পরিকল্পনা সামনে এগিয়ে আসার আভাস পাওয়া যায়! বিহার ত্রিপুরা অসন্তোষ পুরানো! একটা দুঃখজনক কথা হচ্ছে, আমেরিকা রাশিয়া চীন ভারত সবাই বৃহৎ শক্তি কিন্তু আমেরিকা প্রতিশোধে যেমন রাত জেগে ছক আটে, চীন রাশা তার সমর্থকদের ততটা গোয়েন্দা রিপোর্ট দিয়ে সতর্ক করে না! তাদের এই অবহেলার জন্য সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতন ও বাংলাদেশে হাসিনার পতনে সারা বিশ্বে বিশাল ওলোট পালোট হচ্ছে!
মাত্র অল্প দিনে ইসরায়েল মধ্য প্রাচ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ টা দেশে হামলা চালিয়েছে, গত সোমবার লেবাননের বেকা ও হার মেনে , মঙ্গলবার কাতারের দোহা! এসব আক্রমণে মার্কিন স্টেটমেন্ট বলে, তাদের পরোক্ষ সমর্থন আছে! তাছাড়াও মার্কিন রণতরী দুইটা পারস্য উপসাগর মুখী, ইরান সরাসরি আক্রমণ হতে পারে। গাজায় আক্রমণ অব্যাহত, ২০২৩ থেকে আজ পর্যন্ত মোট প্রায় ৬৫ হাজার নিহত হয়েছে, আরো প্রায় ৭০০ অনাহারে মরে পড়ে ছিলো পথেঘাটে! মুসলমানদের কেন কুত্তার মত মরতে হয়, কারন তারা একমাত্র জাতি যারা মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবন ছাড়া ই বড় ধার্মিক, মসজিদে জুতা চুরি হয়, এমনকি পবিত্র কাবায় ও জুতা বোগলে এবং মাথার কাছে রেখে জুতার উপর সিজদাহ্ দিতে হয়! পরম শত্রু হিন্দুর কোন মন্দিরে জুতা চুরি হয় না!
ঐ দিকে বৃটেন জার্মান ফ্রান্সের আকাশে উড়ছে যুদ্ধ বিমান!
স্মর্তব্য, বিশ্বের সব যুদ্ধ বিগ্রহ ইউরোপ থেকে উৎপত্তি। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কয়েক বিলিয়ন লোক হত্যা হয়েছে যা ইউরোপ থেকে শুরু হয়েছে।
কি হতে যাচ্ছে, ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট কি তুরস্ক ? কেন সে বিষয় আলোচনায় যাবো না। তবে মনে রাখবেন, দ্রুত N A T O বনাম রাশিয়া যুদ্ধ হবে, হতে পারে সেটা হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে এবং পুরাটা ই পরমাণু ওয়ার! আপনার দেশ বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলার নাই, তবে বাংলাদেশের বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটার আক্কেল কবে হবে? হাসিনা তাড়ায় স্বাধীন হয়ে চাঁদাবাজি লুটপাট করে জামাতের সাথে এক সুর মিলিয়ে ডাকসু নির্বাচনে আম বস্তা সব গেছে, জাতীয় নির্বাচনে ও কেন্দ্রের কাছে যেতে পারবে তা মনে হয়না! সো কল্ড মুক্তি যোদ্ধার দল কতবছর ক্ষমতার বাইরে যাবে তা নিয়ে ভাবছি, অপরিনামদর্শী নির্বোধ আওয়ামী কে নিয়ে বলার কিছু নাই! ওরা নির্বাসনে কাটাক কিছু বছর!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।