
মোঃ ইউসুফ খাঁন, রংপুর
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে দেড় মণ মাংস মাটিতে পুতে দিলেন স্যানেটারী ইন্সপেক্টর। এবিষয়ে অভিযুক্ত কসাইয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার(২১আগষ্ট) দুপুর আড়াইটায় ফরকেরহাট বাজারে।
এলাকাবাসীরা জানান, শনিবার(২১আগষ্ট) উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ফরকেরহাট বাজারে মাংসর হাটে মারা গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন সহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে মোবাইল ফোনে অভিযোগ করা হয়। রাজারহাট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশাদুল হক তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ মিয়াকে প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। জানতে পেরে অভিযুক্ত কসাই মাংস সেটে মাংস রেখে দ্রুত সটকে পড়েন। স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে ৬ কেজি মাংস জব্দ করে প্রকাশ্যে মাটিতে পুতে ফেলেন। অভিযুক্ত কসাই আলম মিয়া ওই ইউনিয়নের বালাকান্দি কসাই পাড়া গ্রামের মৃত সাকিবউদ্দিনের ছেলে। শনিবার (২৩আগষ্ট) কসাই আলম মিয়া একই ইউনিয়নের ঘুমারুভীমশীতলা পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের আঃ আজিজের ছেলে মাইদুল ইসলামের অসুস্থ গরু কিনে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে মারা যায় বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান। মারা যাওয়া ওই গরুটি জবাই করে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ফরকেরহাট বাজারের মাংস সেটে বিক্রি করা শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি জানার পর রাজারহাট উপজেলা প্রশাসনসহ কয়েকটি দপ্তরে মোবাইল ফোনে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন- অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলে মরা গরুর ৬০কেজি মাংস জব্দ করে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। সেই সাথে কসাই আলম মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।