রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাব এর অফিস উদ্বোধন মাটি – মা প্রফেসর ডক্টর সন্দীপক মল্লিক সাহিত্য রসগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুনতারা’র প্রতিষ্ঠাতা সংবর্ধিত সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দ্বীপশিখা পদক পেলেন জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান শাহিনুর রহমান কারো কাছে নিজের সমস্যা বলার আগেই ভাবুন গঙ্গা–পদ্মার ন্যায্য হিস্যা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশাল গণসমাবেশ হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে ধানের শীষে ভোট চান আনিসুল হক ট্রাভেল এজেন্সির প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি, আটাব, বায়রা ও হাবের মানসিক চাপদাতা: জীবন্ত লাশ বানানোর ভয়ঙ্কর হত্যাকারী সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণের আমানতের খেয়ানত হবেনা- এডভোকেট ইয়াসীন খান সিডর আঘাতের ১৮ বছর, ভেড়িবাঁধের অভাবে আজও দুর্ভোগে, ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ও বেড়িবাঁধের দাবি

নীলফামারীতে জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৪ Time View

 

ইউসুফ খাঁন, রংপুর

নীলফামারীতে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, জুলাই ঘোষণাপত্রকে জাতীয় হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রগতিশীল জুলাই ঘোষণাপত্র ও শহীদ পরিবার, নীলফামারী-এর উদ্যোগে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার আগে গণঅভ্যুত্থানভিত্তিক আন্দোলনের ইতিহাস পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে। বিশেষ করে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ, যা মুক্তিকামী মানুষের অধিকার ও সংগ্রামের দলিল—তাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। বক্তাদের মতে, এগুলো কেবল আঞ্চলিক ইতিহাস নয়, বরং গোটা দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতীক।

বক্তারা বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে উঠে এসেছিল জনগণের অধিকার, মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম এবং গণআন্দোলনের দিকনির্দেশনা। অথচ এ দলিল রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষিত বা স্বীকৃত না হওয়ায় শহীদ ও আহত পরিবারগুলো এখনো বঞ্চনার শিকার। তাঁদের আর্থিক সহায়তা, সামাজিক মর্যাদা ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি আজও নিশ্চিত হয়নি।

তাঁরা জোর দিয়ে বলেন— “জুলাই সনদ শুধু একটি কাগজ নয়, এটি মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগের দলিল। শহীদদের রক্তে লেখা এই দলিল বিকৃত হতে দেওয়া যাবে না।

মানববন্ধন শেষে শহীদ পরিবার ও আহতদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গণঅভ্যুত্থানের সময় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে স্বৈরাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। অনেকে জীবন দিয়েছেন, অনেকেই আহত হয়েছেন, কিন্তু তাঁদের আত্মত্যাগ আজও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পায়নি।

স্মারকলিপিতে প্রধান দাবিগুলো ছিল— ১.জুলাই ঘোষণাপত্র সংরক্ষণ, গবেষণামূলক প্রকাশনা ও জাতীয় পর্যায়ে প্রচার-২-জুলাই সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান-৩-শহীদ ও আহত পরিবারকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, ভাতা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।

৪.গণঅভ্যুত্থান স্মৃতিসৌধের সংস্কার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে শহীদ পরিবারের সদস্যদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা। ৬.পাঠ্যপুস্তকে গণঅভ্যুত্থান ও জুলাই ঘোষণাপত্রের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা।

শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি শাহরিয়ার হোসেন হাবিল জানান, তাঁদের দাবি কেবল আর্থিক সহযোগিতার নয়, বরং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তিনি বলেন, “আমাদের প্রিয়জনরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। কিন্তু আজও তাঁদের নাম ও আত্মত্যাগ যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করা হয় না। আমাদের সন্তানরা যেন জানে তাঁদের পূর্বসূরিরা কীভাবে দেশের জন্য লড়াই করেছিলেন—এটাই আমাদের প্রধান দাবি।

সমাবেশে উপস্থিত বক্তা ও অংশগ্রহণকারীরা একযোগে ঘোষণা দেন, ইতিহাস বিকৃতির যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। তাঁরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায় এবং মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করে।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছাবে এবং ইতিহাসের বিকৃতি বন্ধের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা কিছুটা হলেও ঘুচবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102