মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
তাহিরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় জমি বিরোধে ১৪৪ ধারা জারি- উপেক্ষা করেই মাছ ধরার অভিযোগ সাতকানিয়া আদালতে সহায়ক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কবিতাঃ  আমার প্রিয় দেশ ব্র্যাক একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কবিতাঃ বাস্তবতা এমনই! চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিবার্চিত হলেন নজরুল ইসলাম নীরবতা—সবচেয়ে শক্ত জবাব ডিমলায় শুরু হলো ৫ দিনব্যাপী ‘৮ম উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী’ ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি প্রাসঙ্গীক

আমরা কেমন মুসলমান?

Coder Boss
  • Update Time : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১২৬ Time View

লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট রেজা শাহ পাহলভি আমেরিকা পালিয়ে যাওয়ার পর ইসলামি বিপ্লবের আয়াতুল্লাহ খোমেনি ইরানের ক্ষমতায় আসেন! তখন থেকে ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে পথ চলছে!
তার মধ্যে ১৯৮০ সালে সাদ্দাম হোসেন কে দিয়ে ইরান ইরাক যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়া হয়, সে যুদ্ধ
দীর্ঘ ৮ বছর চলে! এসবের ভিতর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য, সাবমেরিন, যুদ্ধ জাহাজ পারস্য উপসাগরে ইরান কে অনেকটা অবরুদ্ধ অবস্হায় রেখেছিলো এবং ইরান হচ্ছে বিশ্বের ৮ ম তেল উপাদান কারী দেশ, তার তেল বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় কেউ তার তেল কিনতো না! আরব মুসলিম বিশ্বের সব দেশের কাছে ইরান ছিলো আতঙ্ক, তাদের হজ্ব পর্যন্ত বন্ধ ছিলো অনেকগুলো বছর! ইরাক ইরান যুদ্ধ ও বিশ্ব গুরুর কুমন্ত্রণা!

প্রিয় পাঠক, এত প্রতিবন্ধকতার ভিতর ও ইরান আজ সামরিক অস্ত্র গোলাবারুদ টেকনোলজিতে এতই উন্নত হয়েছে যারা সাপ্তাহিক কুচকাওয়াজে ৪ হাজার কিলোমিটার
দূরত্বে নিক্ষেপ যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে!
তারা ড্রোন বিক্রি করে, চীন তুরস্ক রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার মত পরমাণু অস্ত্র ধারী দেশগুলো তাকে বন্ধুত্ব করতে হাত বাড়িয়ে দেয় এবং একসময় অস্পৃশ্য ইরান আজ সৌদি আরবের ও অনেক কাছের বন্ধু, আফগানিস্তান ইরাক ইয়েমেন সব মুসলিম দেশের কাছের বন্ধু!

ইসরায়েলের কসাই খানায় পরিনত ফিলিস্তিনের পাশে শুধু ইরান আছে!
এক যোগে বাহরাইন ইয়েমেন লেবানন ইরাক ও হামাস সেলফ প্রটেকশন WAR চালিয়ে যাওয়ার অস্ত্র ইরান সরবরাহ কর চলেছে।
প্রিয় পাঠক, একই কুরআনের মুসলমান, আমাদের দেশের আরবী শিক্ষিতরা বিজ্ঞান পড়া, নারী শিক্ষা সব হারাম বলে জাতিকে পিছে নিয়ে যাচ্ছে, এমন কি মার্কিন অখুশি হয় বলে মসজিদে ও ফিলিস্তিন লাখের উপর হত্যা হয়েছে তাদের জন্য দোয়া করা হয় না!

মুসলমান প্রধানত দুই ভাগ, শিয়া সুন্নি! সুন্নি নিজেই চার ভাগ এবং শিয়া তিন ভাগ। এসব ভাগের নামধাম ইতিহাস চরিত্র আমার জানা কিন্তু আপনারা ধৈর্য হারাবেন বলে ঐ বয়ান বাদ দিলাম। সুন্নি প্রায় ৮৮% এবং শিয়া ১২% এর আশেপাশে। নবী করীম সঃ ইন্তেকালের পর কে ক্ষমতায় আসবেন তা নিয়ে মতভেদ শুরু হয়! একগ্রুপ “আবু বকর রাঃ” অন্য গ্রুপ “আলী রাঃ” নেতা মানেন। হযরত আলীর সমর্থক রা শিয়া আর আবুবকর রাঃ সমর্থক রা সুন্নি, অন্য একটা গ্রুপ “খারিজী” যারা শিয়া সুন্নি সবাইকে “কাফির” বলে থাকেন! মাঝ খানে হযরত ওসমান হত্যা, আলী রাঃ হত্যা, হাসান হুসাইন হত্যা সবই “মুয়াবিয়ার” কারসাজি এবং তার ছেলে এজিদের ষড়যন্ত্র!

মুয়াবিয়া নবীর আদেশ নিষেধ কর্ম বিরোধী একজন মানুষ ৫ ম খলিফা হয়ে কিছু উল্টো মুসলমান নিয়ম কানুন লিপিবদ্ধ করেন এবং
বাংলাদেশের সংবিধানের মত পরিবর্তন করেন অনেক কিছু! এখন ও বাংলাদেশ আশংঙ্কা মুক্ত নয়, সংবিধান পতাকা জাতীয় সঙ্গীত জাতির জনক কত কি পরিবর্তন হবে অজানা!
২০০/২৫০ বছর পর যারা হাদিস লিখেছেন যেমন বুখারী তিরযিমি মুসলিম ইত্যাদি, তারা কেউ নবীকে দেখেন নাই,নবীর সান্নিধ্যে ছিলেন না, তাদের লেখা অনেক কিছু রিপিটেশন এবং তথ্য প্রাপ্তি মুয়াবিয়া বা আয়শাহ রাঃ কে অনুসরণ শোনা যায়। সেই হাদিসের আলোকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলো চলে, ডিগ্রি ও এসব পড়ে নেয়া! কুরআন নিয়ে আধুনিক যারা তর্জমা ডক্টরেট করেছেন বা কিছু মাওলানা (মাঃ জাহাঙ্গীর) অনেক নতুন তথ্য দিচ্ছেন! যেখানে পর্দা, নারীপুরুষ সমতা, বিজ্ঞান পড়া হারাম নয় বরং নবী করীম সঃ এর নির্দেশ, এমনি অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। আমরা যারা বাংলা ইংরেজি তর্জমা পড়ি বা শুনি তখন মনে হয় কুরআনের অর্থ বুঝতে পারা ও ইংরেজি শিক্ষা বা বিজ্ঞান শিক্ষিত জন ছাড়া আসল অর্থ বুঝা সম্ভব না।
তাই ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারে আর আমরা ভ্যান রিক্সা চার্জার সারাই করতে ও চীন ভারত থেকে আরো ১০/২০ বছর পর এক্সপার্ট আনতে হবে কারন আমরা পূর্ণ মুসলমান হচ্ছি এবং সুদ ঘুষ মিথ্যা ক্ষমতায় যেতে ধর্ম ব্যবহার, মিথ্যা গুজব ছড়ানো, ওজন কম দেয়া, ইত্যাদি তে কোন দোষ দেখছি না! বিজ্ঞান বলে এক মহিলা কে এক পুরুষ খুশি করতে পারে না ভাত কাপড় দৈহিক সুখ দিয়ে কিন্তু আমরা শিখতেছি নারী কালো কাপড়ে মুড়াও, তার দৈহিক চাহিদা কমাতে খৎনা করাও (আরবীয় ও আফ্রিকা মুসলিম দেশ গুলো নিয়ম)! পুরুষ গোটা চার মহিলা ঘরে আনো গরীব বাবার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে! সব মৃত্যু তে শহীদ, এখন আর ধর্মীয় যুদ্ধ লাগে না! ধর্মপ্রাণ গরীব অশিক্ষিত লোকগুলো ঝাপিয়ে পড়েন কারন তাদের বিনা হিসাবে বেহেশতে ঘর তৈরি হয়ে যায়!

ভালো থাকেন গোটা ৩০ ভাগ মুসলমানের আপনি কোন দলের সেটা আগে বোঝেন তারপর মুসলমান দাবী করেন! সুন্নি চোখে কাদিয়ানী কাফের, খারিজী চোখে শিয়া সুন্নি কাফির! ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন বানানো হারাম যেহেতু বিজ্ঞানের অবদান! আমরা বাংলাদেশের মুসলমান! আমরা দারুন ধর্মপ্রাণ!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102