
মোঃ রায়হান পারভেজ নয়ন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডালিয়া-শুটিবাড়ি সড়কের ভাঙা অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ৫নং গয়াবাড়ি ইউনিয়ন শাখা। বহুদিন ধরে সড়কটির ভাঙন স্থানীয় মানুষের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী যানবাহন ও ব্যবসায়ীদের নিত্যদিনের যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। যে রাস্তার পরিচয় দেওয়া হতো মৃত্যুর ফাঁদ নামে যেখানে প্রতিনিয়ত এক্সিডেন্ট আর এক্সিডেন্ট অসংখ্য আহত ও একাধিক নিহতর ঘটনা ঘটে । এ অবস্থায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে জনকল্যাণমূলক এই উদ্যোগ নেয়া হয়।
সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলার সংগ্রামী আমীর, জননেতা এবং ডোমার-ডিমলা নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুস সাত্তার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গয়াবাড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম মুকুল, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সালাম, বায়তুলমাল সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম, যুববিভাগের সভাপতি আবু তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।
অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, জনগণের সেবা করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। এ রাস্তা স্থানীয় জনগণের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছিল। আমরা চাই জনগণের কষ্ট কমুক, তারা যেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। জামায়াতে ইসলামী সবসময় মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে থাকতে চায়।
গয়াবাড়ি ইউনিয়ন আমীর মাওলানা রেজাউল করিম মুকুল বলেন, এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ। রাজনীতি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার মাধ্যম নয়; রাজনীতি হলো মানুষের সেবা করার ক্ষেত্র। এই কাজ তারই প্রমাণ।
স্থানীয়রা বলেন রাস্তা ভেঙে থাকায় কয়েক মাস ধরে আমাদের ভোগান্তির শেষ ছিল না।বিশেষ করে কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হতো। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হতো। জামায়াতের এই উদ্যোগ মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে।
জানা গেছে, ডালিয়া ব্যারাজ ঘাট হয়ে শুটিবাড়ি ও আশপাশের জনপদকে জেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে এই সড়ক। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। কিন্তু ভাঙনের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছিল।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যোগ মানুষের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর এভাবে এগিয়ে আসা সমাজে সহযোগিতার নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
এদিকে জামায়াত ইসলামির জেলা আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন বাংলাদেশ জামাত ইসলাম সব সময় জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করবে ইনশাআল্লাহ এবং আমাদের জনসভা মূলক কাজ অব্যাহত থাকবে।