নীলফামারী প্রতিনিধি
রবিবার সকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। সকাল আটটার দিকে মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম তছনছ হয়ে যায়। এতে অন্তত পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রচণ্ড গতির বাতাসে অগণিত গাছ উপড়ে পড়ে এবং টিনের চাল উড়ে গিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া বহু পরিবার এখন আশ্রয়হীন অবস্থায় আছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউনিয়নের মাঝাপাড়া, হাজীপাড়া, বানিয়াপাড়া, চেয়ারম্যানপাড়া, মুন্সিপাড়া ও কালিরথান এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক কৃষক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের ধান, কলা ও সবজি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ১০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে। বেশ কিছু গবাদিপশুও মারা গেছে।
এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জোনাব আলী বলেন, হঠাৎ আসা ঝড়ে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত ত্রাণ বিতরণের কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা জানান,ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।