লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বিশ্বে এমুহূর্তে ৩১% মুসলমান এবং মাত্র ০.২% ইহুদি! মোট সাতান্ন টা মুসলমান দেশ, একটা মাত্র ইহুদি দেশ! আমরা রোজ মার খাচ্ছি কেন? ইসরায়েল গাঁজা ইরান কাতার সিরিয়া ইসরায়েল আক্রমণ করে তা মুসলমান দেশের উপর দিয়ে উড়ে এসে হামলা চালায়! এসমস্ত মুসলমান দেশের সব ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা এবং এয়ার এ্যাটাক বিমান, F – 16 পর্যন্ত কেনা আছে! তা হলে কেন তারা ইসরায়েলের বিমান ভূপাতিত করেন না! বরং ইরানের মিশাইল হামলা প্রতিহত করেন!!
কেন কেন কেন?
প্রিয় পাঠক, এই কেন-র উত্তর আমার কাছে আছে!
ধৈর্য ধরে শুনুন, আমেরিকান যুদ্ধ অস্ত্র কেনার পূর্ব শর্ত তাদের গোলাম হয়ে থাকা! মার্কিন কোন অস্ত্র তার মিত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবেন না! এজন্য আপনার দেশের কথিত ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র কেনা আলোচনা থেকে বের হয়ে গেছিলেন, এবং ফ্রান্সের “রাফায়েল কিনতে চুক্তি করেছিলেন!”
২. মুসলমান আছে বিশ্বে দু’শ চল্লিশ কোটি, ইসলাম নাই! রাগ করবেন না, ইসলাম থাকলে গাজায় অভুক্ত নারী-শিশুদের জন্য ত্রান নিয়ে এসেছে সব আপনাদের ভাষায় কাফের দেশ! আপনার বেহেশতের সনদ পাওয়া কোন দেশ নাই কেন? কারন তারা কুরআন, নবী এবং আল্লাহ থেকে আমেরিকা কে ‘ভাগ্য দেবতা” মানে। আমেরিকা ইসরায়েল থাকলে তারা গদিতে থাকবে! আপনার বাসার পাশের মুসলমান ব্যক্তির চরিত্র বিশ্লেষণ করেন, দেখবেন দামী জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে দৌড়ায় কিন্তু ছাই বিক্রি করা মহিলার ছাই কিনতে দরাদরি করে, ইসলামের কোন দায়িত্ব কর্তব্য করে না! মা-বাবা ভাই-বোনে আত্মীয়স্বজনের কোন দায়িত্বে তারা নাই! কিন্তু হিন্দু খৃষ্টান ইহুদি চলে গীতা বাইবেল তানাখে লিখিত নির্দেশ মত! মুসলমান কুরআন তেলাওয়াত ভালো করে ভিতরে কি নির্দেশ তা বুঝতে যায় না, অর্থ দন্ডে তারা নাই!
পাঠক, ইহুদিরা জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলমান থেকে শতগুণ অগ্রগামী! বিশ্বে আজ পর্যন্ত যত জন নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তার ২০% নোবেল ইহুদিরা পেয়েছে! আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা বিজ্ঞান বহির্ভূত! একজন হাফেজ হলে আমরা বেহেশতে নির্ধারণ করে দেই! নারী শিক্ষা আর বিজ্ঞান শিক্ষা ৫০ হাজার কওমি মাদ্রাসায় আছে কি? ইরান এক মাত্র মুসলমান দেশ যারা নবীর মেসওয়াক কে সুন্নত ভাবে না, তরবারি কে সুন্নত ভাবে, টুপি কে নয় যুদ্ধ মাঠের বর্ম কে সুন্নত ভাবে! নবী করীম সঃ টুপি পরেন নাই যুদ্ধ ময়দনে “বর্ম” পরেছেন!
১৯৪৮ সালে ছোট্ট একটুকরো ভুমি নিয়ে গঠিত ইসরায়েল এত শক্তিশালী হলো কিভাবে আসুন তা একটু আলোচনা করি! আমেরিকার দোষ দেন শুধু, আমেরিকা ইহুদিদের সমর্থন দেবে না কি আপনাদের মত আহাম্মক কে সমর্থন দেবে যারা ডেকে এনে নিজ দেশ অন্যের হাতে তুলে দেয়!
আপনাদের জ্ঞান, আই-কিউ, বিবেক বন্দী অর্থ-বিত্ত ক্ষমতা হিংসা বিদ্বেষ দাম্ভিক মেকি বংশ পরিচয় নিয়ে! ইহুদি অবদান শুনুন —
কলেরা ভেক্সিন, সিফিলিস গনোরিয়া ইনজেকশন, ক্যামো থেরাপি, ইনসুলিন, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, পোলিও ভেক্সিন, আধুনিক ৩/৪ গুন ধান ফলন সব সব সবকিছু বর্ণিত ইহুদি আবিষ্কার!
আপনাদের গর্ব নারী আটকানো ওয়াজ আর বিজ্ঞান ছাড়া শিক্ষা এবং গোটা চার বিয়ে!
স্মর্তব্য, ১৯৭১ সালে ইস্ট সেক্টরের মুক্তি যুদ্ধে যিনি ফিল্ড প্রধান ছিলেন তিনি “মেজর জেনারেল জ্যাকব” একজন ইহুদি যিনি রেসকোর্সে ৯৩ হাজার পাক সৈন্য আত্মসআত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন! বেঈমান ছিলেন না! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার খেয়ে বেঈমানী করেন নাই! আপনারা ডলার পেলে দেশ বেঁচে দেন, আদালতে কুরআন ছুঁয়ে মিথ্যা সাক্ষী দেন!
উল্লেখ্য আমরা যেমন ১৯৭১ সালে তিরিশ লক্ষ বাঙালি হারিয়েছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ষাট লক্ষ ইহুদি হত্যা নাৎসি হলো কাস্টের বিভৎস ইতিহাস! আমাদের হত্যার হুকুম দিয়েছিলো “ইয়াহিয়া ভুট্টা” ইহুদি হত্যা হুকুম দাতা “হিটলার”! ইহুদিরা ১৮৯৭ সালে জায়েনাবাদী আন্দোলনে “মরিস ম্যান্ডালার” নেতৃত্বে উঠে এসেছে উন্নত দেশে, মনে রেখেছে তাদের নেতার কথা, আপনারা আপনাদের মুক্তি দাতা নেতা “মুজিব” কে অপবাদ দিয়ে হত্যা করেছেন, মঞ্চস্থ করেছেন “নাইলন জাল” পরায়ে বাসন্তী নাটক। আজ ও বাসন্তী অভুক্ত কেন?
বার-বার “মুজিবের” মুন্ডুপাত করেন এবং তার স্ট্যাচুর মাথার উপর প্রসাব করান! অথচ চার কোটি মানুষ হত্যাকারী স্বৈরশাসক ” চেঙ্গিস খানের” স্ট্যাচুর পূজা করে মঙ্গলিয়ার মানুষ! আপনারা মুসলমান এবং তারা মুসলমান না, এই হলো পার্থক্য! আপনারা ধর্ম বিক্রি করেন, বিশ্বে আর কোন জাতি ধর্ম বিক্রি করে না! তাই বিশ্বের ৩১% মুসলমান হয়েও ০.২% ইহুদির কাছে লাখ লাখ লোক জীবন দিয়ে যাচ্ছে ৭৭ বছর ধরে ! কাতারে মার্কিন যুদ্ধ বিমান শত-শত এসে একত্রিত হচ্ছে ইরান আক্রমণ করতে, কাতার নিষেধ করে না কেন, আমার মাটি ব্যবহার চলবে না, ৫৭ টা মুসলিম দেশ চুপ কেন? কারন কেউ সাদ্দাম, গাদ্দাফি মুজিব, বাশার আল আসাদ, শেখ হাসিনা হতে চায় না! আল্লাহ বলেছেন, “আমি মোমেনের রক্ষা কর্তা!” ৫৭ টা মুসলমান দেশে এত মসজিদ মাদ্রাসা একজন মোমেন নাই?
বুকে হাত দিয়ে বলেন আপনি কুরআনের মুসলমান? তা হলে জাপানের দশ লক্ষ লোক রোডে নেমে আসছে ফিলিস্তিন স্বাধীনতার পক্ষে আপনার দেশ থেকে এত মাওলানা মুফতি কেউ বায়তুল মোকাররম মসজিদ গেট থেকে রোডে নামে না অভুক্ত ফিলিস্তিন বাসীর জন্য কেন? কেন কেন কেন? কারন এই মিছিলে ডলার পাওয়া যায় না!!!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।