
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ১৩ নভেম্বর সুনামগঞ্জের একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্টে “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খাস জমি দখল ও দুর্নীতির অভিযোগ ” শিরোনামে একটি সংবাদে প্রতিবাদের জানিয়েছেন রঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদে মনগড়া ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে আমাকে জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে গণমাধ্যম কে ব্যবহার করে এসব কাজ করছে। প্রকাশিত সংবাদ টি সম্পূর্ণ ভূয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গুচ্ছগ্রামে যেসব ঘর খালি রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য আমি বেশ কয়েকবার উপজেলার সমন্বয় সভায় কথা বলেছি। আমার বক্তব্য রেজুলেশনেও উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দেওয়ার পর প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এখানে আমার আর্থিক লেনদেন করার প্রশ্নই উঠে না।
অভিযোগে ২০০ একর খাস জমির কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে খাস জমি রয়েছে ২১ একর। ঘর নির্মাণের পর যে জায়গা খালি রয়েছে সেগুলো গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা ব্যবহার করে থাকেন। খাস জমিতে তারা তাদের গরু ছাগল হাস মুরগী লালন পালন করছেন।
স্থানীয় একটি পক্ষ দীর্ঘদিন যাবত এই খাস জমি দখলের চেষ্টায় রয়েছে। কয়েকবছর আগে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন মামলাও দায়ের করে। আমার বাঁধার কারণে দখল করতে না পারায় সেই পক্ষের একটি অংশ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের সাথে বাস্তবতার মিল নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার সম্মানহানী করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
আমি সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কে অনুরোধ করবো বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ না করে সঠিক ও সত্য সংবাদ পরিবেশন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখতে।