
লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
ইউক্রেনের “জেলেনস্কি” বাইডেন স্যারের পরামর্শে অতিশক্তিশালী হতে গেলেন NATO সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টায়! “আম বস্তা” সবই গেছে রাজধানীর চারিদিকে রাশিান সৈন্য! তারপরেও ইউক্রেন মন্ত্রীরা দশ হাজার কোটি ডলার চুরি করে পাচারে ধরা পড়েছে!
আজ দীর্ঘ দিন যুদ্ধ শেষে ইউক্রেনের রাজধানী “কিয়েভ” রাশিয়া দখলে যাচ্ছে বলে জেলেনস্কি নিজেই মন্তব্য করেছেন! স্মর্তব্য, ২০২২ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারী রাশিয়া রাখ ঢাক না করেই ইউক্রেন আক্রমণ করেছিলো! বৃটেনের বরিস এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্যার তাকে বুঝিয়ে ছিলেন, তাকে অর্থ অস্ত্র দিয়ে জয়লাভ পর্যন্ত সাহায্য করা হবে এবং রাশিকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত জাপান জার্মানে থেকে যে ভাবে নিয়েছিলো সেভাবে কোটি কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ নিবে “টোকিও লুম্বন্সবার্গ ট্রাইবুনালের মত ” মস্কো” ট্রাইবুনাল বসায়ে! গাছে কাঁঠাল গোপে তেল, বাইডেন স্যারের দল আমেরিকায় পরাজিত হয়েছে, বৃটেন ইতালির সরকার পতন হয়েছে,ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার তেল-গ্যাস না পেয়ে দুর্ভিক্ষ অবস্থা চলছে NATO তে ফাটল ধরছে, শীতে ঠান্ডায় জমে লোক মরছে, NATO বিরোধী এশিয়ান
রাশিয়া চীন ভারত ইরান জোট হয়েছে, ডলারের বিরুদ্ধে BRICS তৈরি হয়েছে এবং সর্বোপরি হাতি তার শরীর দেখতে পেয়ে শক্তির আন্দাজ করতে পেরেছে অর্থাৎ এশিয়া এতদিন পর বুঝতে পেরেছে তারা কত বড়, কত বিশাল,পশ্চিমারা কতটা এশিয়ার উপর নির্ভরশীল?
প্রিয় পাঠক, আমেরিকা সবসময় সব দেশ থেকে লাভ্যাংশ লুটতে তাদের সাপের হাত-পা দেখায়! অস্ত্র বিক্রি তাদের আসল ধান্দা থাকে, হোক সেটা ইউক্রেন, ইসরায়েল বা বাংলাদেশ! ইউক্রেন শেষ, সোভিয়েত ইউনিয়নের যতগুলো দেশ নিয়ে গঠিত ছিলো ইউক্রেন ছিলো সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ! সোভিয়েত বিশ্বের প্রায় তিরিশ শতাংশ গম সরবরাহ কারী দেশ ছিলো, ইউক্রেন প্রদেশ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ গম সরবরাহ হতো, প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউক্রেনে, সবচেয়ে বড় প্রদেশ ছিলো ইউক্রেন, মার্কিন পরামর্শে মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে! আবার অস্ত্র বিক্রির জন্য রাশিয়ার পার্শ্ববর্তী NATO ভুক্ত দেশগুলো কে উস্কে দিচ্ছে, “প্রস্তুত হও, ইউক্রেনের পর তোমরা আক্রান্ত হতে যাচ্ছো, পরোক্ষ আহ্বান হলো, অস্ত্র কিনো! পোল্যান্ড, রুমানিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়ার মত উচ্চ জিডিপির দেশগুলো কে সার্কাস রিংয়ে নেয়ার কূটচাল আমেরিকার পরামর্শ! আবার বলছে, তোমাদের NATO সেনারা পাহারা দেবে কিন্তু তারা ইউক্রেনে প্রবেশ করবে না, উদ্দেশ্য দুটো, ইউক্রেনে ঢুকলে রাশিান প্যাদানো যাবে ওয়াশিংটন পর্যন্ত আর লাখ লাখ সেনা আমেরিকার কিছুদিন ফাও বেতন ভাতা খাবার লজিং থেকে খেয়ে যাওয়া, এমনি পাহারার নামে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর থেকে মদ মহিলা মানি হাতরায় নিচ্ছে!
পাঠক, রাশিয়ার পূর্ববর্তী ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে একে অপরের সাথে। এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, পোল্যান্ড, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড কারো সাথে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব নাই বরং পোল্যান্ড নরওয়ে ফিনল্যান্ডের দীর্ঘ সীমান্ত আছে, তাদের যৌথ বন্দর ও আছে কোথাও ভারত বাংলাদেশের মত কাটা তারের বেড়া নাই! অথচ মার্কিন তাদের রক্ষা করতে ন্যাটো সেনা পাঠিয়ে নিরাপত্তার জন্য অঙ্গীকার করছে বার-বার!
কোন দেশের শাসক যখন ” আহাম্মক” হয়, বা দেশ প্রেমিক না হয়ে দেশের ক্ষতি করার মতলবে থাকে সে দেশ স্বাধীনতা হারায় দ্রুত এবং তা উদ্ধার করতে আবার প্রীতিলতা ক্ষুদিরাম নন্দ কুমার সূর্য সেনদের জীবন দিতে হয়, অপেক্ষা করতে হয় বৃটিশ তাড়াবার মত ১৯০ বছর!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন!