
মোঃ রফিকুল ইসলাম টিটু, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মধ্যনগর থানার পূর্ব সাহাপুর মৌজায় একই জমির দখল ও মালিকানা দাবি নিয়ে ১ম পক্ষ মোছা শাহানা বেগম ও ২য় পক্ষ খালেকুজ্জামান খোকন গং-এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন হলে বিজ্ঞ আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করে আগামী ২৪ নভেম্বর উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, বাদি ১ম পক্ষ মোছা সাহানা বেগম আদালতে অভিযোগ করেন—স্বত্ব দখলীয় নিজের জায়গায় মাছ ধরতে গেলে তার আপন ভাই ২য় পক্ষ খালেদুজ্জামান খোকন ও তার লোকজন সেখানে বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৪৪ ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দেন এবং নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি উভয় পক্ষকে জানানো হয়।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২য় পক্ষ খালেদুজ্জামান খোকন গং নালাবাঁধ নির্মাণ করে জাল ফেলে মাছ আহরণ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিবাদী পক্ষ দাবি করছে—নোটিশে উল্লেখিত স্থানটি ভিন্ন, তারা নিষিদ্ধ জায়গায় নয় বরং আলাদা এলাকায় মাছ ধরছেন।
অন্যদিকে বাদিপক্ষ দৃঢ়ভাবে দাবি করেছে—
> “নোটিশে যেই জায়গার কথা বলা হয়েছে, সেই জায়গাতেই অভিযুক্তরা জাল বসিয়ে মাছ ধরছে। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে তারা আইনকে অবজ্ঞা করছে।”
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন
এটা দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধ। আদালতের নির্দেশের পরও বিতর্ক চললে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার ঝুঁকি আছে। প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে শান্তিপূর্ণ সমাধান করবে—এটাই আমরা আশা করি।”
মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিবুর রহমান বলেন—
> “আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি। আদালতের আদেশ অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিরোধের স্থান পূর্ব সাহাপুর মৌজা, মধ্যনগর
পক্ষ ১ম পক্ষ – মোছা শাহানা বেগম, ২য় পক্ষ – খালেকুজ্জামান খোকন
আদালতের পদক্ষেপ ১৪৪ ধারা জারি, ২৪ তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ
অভিযোগ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জাল ফেলে মাছ ধরা
পরিস্থিতি উত্তেজনা, জনমনে উদ্বেগ
পুলিশের অবস্থান নজরদারিতে রেখেছে, আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা
বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা ও ব্যবহারের বৈধতা আদালত নির্ধারণ না করা পর্যন্ত প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা—সমাধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থায়ীভাবে স্বাভাবিক হবে।