
নির্মম প্রাণী নির্যাতন ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানা হত্যায় ক্ষোভ ও মানবিকতার সংকট” পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ আবাসিক এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নির্মম ঘটনার অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অভিযোগে জানা যায়, একটি মা কুকুরের সদ্যোজাত আটটি ছানাকে বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে স্থানীয়রা গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দেশ-বিদেশের প্রাণীপ্রেমীরাও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।গত ২৯ নভেম্বর, শনিবার সকাল প্রায় সাড়ে ১১টায় আবাসিক এলাকার একটি পুকুরে ভাসমান বস্তা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মা কুকুরের অস্বাভাবিক আর্তচিৎকারে তাদের সন্দেহ হয়। পরে বস্তা তুলে খুলে দেখা যায়, ভেতরে আটটি মৃত কুকুরছানা। স্থানীয়দের মতে, জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই ছানাগুলোকে জীবিত অবস্থায় পানি ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মর্মান্তিক দৃশ্যটি এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ঘটনার পর ঈশ্বরদীর সাবেক ইউএনও সুবীর কুমার দাশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি করেন। তার পোস্টকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় এবং প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আসে।
এই ঘটনার পর দেশ-বিদেশে থাকা বহু সচেতন মানুষ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রাণীও অনুভূতিসম্পন্ন জীব। তাদের বেদনা, মাতৃত্ব ও কষ্ট মানুষ হিসেবে আমাদের উপলব্ধি করা উচিত। একটি মা কুকুরের সন্তান হারানোর নির্যাতনমূলক দৃশ্য মানবতার প্রতি গভীর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।বাংলাদেশের পশু কল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী অকারণ প্রাণী নির্যাতন বা হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। তা না হলে জনসাধারণের মধ্যে প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা কমে যাবে এবং আইনের প্রতি আস্থা নষ্ট হবে।এই নির্মম ঘটনা সমাজে নৈতিকতার অভাব এবং মানবিক মূল্যবোধের ঘাটতির দিকটি স্পষ্ট করে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সত্ত্বেও মানবিকতার চর্চা না থাকলে সমাজ সভ্য হতে পারে না। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে দয়া, সহমর্মিতা এবং প্রাণীপ্রেমের শিক্ষা দিতে হবেএ ধরনের ঘটনা আমাদের সেই প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি উপলব্ধি করায়। একজন শিল্পী হিসেবে আমার বিশ্বাস, আটটি নিষ্পাপ প্রাণীর মৃত্যু যেন শুধু একটি ঘটনার গল্প হয়ে না থাকে। এটি আমাদের মানবিকতার পরীক্ষার পাথেয় হওয়া উচিত।
এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত হলে ভবিষ্যতে এমন নিষ্ঠুরতার পুনরাবৃত্তি কমে আসবে।
উপরের লেখার সারাংশ (লেখকের দৃষ্টিতে)
ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানা হত্যার ঘটনা মানবিকতার গভীর সংকট তুলে ধরে। প্রাণীও অনুভূতিসম্পন্ন, মা কুকুরের সন্তান হারানো মানসিক কষ্ট সমাজে মানবিক মূল্যবোধের অভাব নির্দেশ করে। আইন ও প্রশাসন দোষীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে এমন নির্মমতা প্রতিরোধ সম্ভব। ছোটবেলা থেকে শিশুদের মধ্যে সহমর্মিতা, দয়া এবং প্রাণীপ্রেমের শিক্ষা জরুরি।
লেখকের উক্তি
“অটল মানবিকতা ছাড়া আমরা সত্যিকারের মানুষ হতে পারি না। আটটি নিষ্পাপ প্রাণীর মৃত্যু আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করছে মানুষ কি প্রকৃতিই মানবিক?”
“প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা এবং নৈতিক শিক্ষা ছাড়া সমাজ সভ্য হতে পারে না। এই ঘটনার যথাযথ বিচার ভবিষ্যতের জন্য একটি শিক্ষার বার্তা।”
“একজন শিল্পী হিসেবে আমি চাই, এই নির্মম ঘটনা যেন শুধু শোক নয়, সমাজের মানবিকতা ও দায়িত্ববোধ জাগানোর পরীক্ষা হয়ে থাকে।”
বিঃদ্রঃ ২ জানুয়ারি রাত ১টা থেকে লেখা শুরু করে ৫:৫২ পর্যন্ত টাইপ করলাম কুকুর ছানাদের হত্যাকারীর বিচার হলে এই রাতজাগা ও কষ্ট হৃদয় থেকে মুছে যাবে।