শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা ও পৌর জামায়াতের আয়োজনে ছাত্র- জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত কটিয়াদীতে রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার ডিমলায় বুড়ি তিস্তা খনন প্রকল্পের বিরুদ্ধে পাঁচ গ্রামের মানুষের মশাল মিছিল মধ্যরাতে গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউএনও বাংলার মাটিতে নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে দেওয়া যাবে না- নূরুল ইসলাম সাদ্দাম দুর্নীতি বন্ধে তরুণদের শক্তিশালী করতে হবে গোয়াইনঘাটে এনসিপির মতবিনিময় সভায়- ফয়সল আহমদ গণমানুষের স্বার্থরক্ষায় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি লেখকরাও দায়বদ্ধ- মুনীর চৌধুরী সোহেল সাতকানিয়া লোহাগাড়া মানবিক ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান জগন্নাথপুরে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কবিতাঃ এই দেশ আমার

নিয়ামতপুরে আমনের ফলনে খুশি, দামে অখুশি কৃষক

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১৫ Time View

 

এস এম রকিবুল হাসান
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

ঝাঁটা দিয়ে ঝাড়ু দিতে ব্যস্ত নিপেন্দ্রনাথ। বাঁকে করে ধান এনে ক্লান্ত ভাদু মহন্ত একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। আর ধান রেখে সুকোলের ভুটভুটি আবার চলে যাচ্ছে ধান নিতে। স্তূপ করা ধানে পোকা খুজেঁ খাচ্ছে জাতীয় পাখি দোয়েল। বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের উঠানে উঠানে এমন দৃশ্য যেন কৃষি প্রধান গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি।

ধানের জেলা হিসেবে খ্যাত নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের উৎসব। কাক ডাকা ভোর থেকে রাত অবধি চলছে কৃষকদের এই ‘মহাযজ্ঞ’।

তবে কৃষকেরা বলছেন, নভেম্বরের ঝড়-বৃষ্টিতে ধান ডুবে গিয়ে আর মাটিতে শুয়ে পড়ায় ফলন কম হয়েছে। সেই সঙ্গে ধানের দাম কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়ে তাঁরা শঙ্কায় রয়েছেন।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান মানভেদে ১১৪০-১১৫০ টাকায় এবং ব্রি-৫১ জাতের ধান মানভেদে ১১১০-১১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমে ৩০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। রোপণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৪৩০ হেক্টর। সে হিসাবে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারে রোপিত জাতের মধ্যে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান বেশি রোপণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রি- ৫১, ৩৪, ৭৫, ৮৭, ৯০; বিনা-১৭ সহ দেশি জাতের অন্যান্য ধান রোপণ করা হয়েছে।

উপজেলার ভাবিচা গ্রামের কৃষক গোপাল চন্দ্র প্রামানিক বলেন, তিনি এবার ৮ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। ধান মোটামুটি ভালোই হয়েছিল। গত নভেম্বর মাসের কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ও ঝড়ে আধা পাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়ে। ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় কাটতে সময় বেশি লেগেছে। ধান খাড়া থাকলে ফলন বিঘাপ্রতি ১ মণ ধান বেশি হতো বলে জানান তিনি।

একই গ্রামের কৃষক রথিন মণ্ডল বলেন, ‘গত নভেম্বরের ঝড়-বৃষ্টিতে আমার কয়েক বিঘার ধান শুয়ে পড়ে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছি। এদিকে আবার বাজারে ধানের দাম কম। বাড়িতে হালখাতার চিঠি আসা শুরু হয়ে গেছে। খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।’

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। নমুনা শস্য কর্তন করে বিঘাপ্রতি ১৯ মণ হারে ফলন পাওয়া গেছে। গত নভেম্বরের ঝড়- বৃষ্টিতে ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো প্রভাব পড়বে না। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102